অভিরূপ দাস: টিকার (Vaccine) পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে শঙ্কায়। আর তাই পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র নয় হাসপাতালে টিকা দেওয়ার আরজি জানালেন পুুরসভার স্টেথোধারিরা। ইতিমধ্যেই কেএমসি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। যেখানে বলা হয়েছে ভাইরাস ও তার প্রতিরোধী টিকা নতুন স্বাভাবিকভাবেই তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। কেএমসি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মানস সোম জানিয়েছেন, “আমরা চিকিৎসকরা টিকা নিতে ইচ্ছুক। কিন্তু ক্রিটিকাল কেয়ার আছে এমন কোনও হাসপাতালেই টিকা দিতে হবে।” তাঁর যুক্তি, যদি কোনও চিকিৎসক আচমকা টিকা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে যেন তাঁদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাটুকু দেওয়া যায়।
সূত্রের খবর, একই দিনে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই করোনার (Coronavirus) ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করবে কলকাতা পুরসভা। ৬ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার এই সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক হয়। প্রত্যেকটি হেলথ ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌমিত্র ঘোষ। সেই সঙ্গে নবান্নের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের বৈঠক হয়। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভা একটি টাস্কফোর্স তৈরি করেছে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে কেএমসি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ বেঁকে বসায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীন বহু, বাগবাজারে বস্তিবাসীদের ঘর বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস ফিরহাদের]
শুধুমাত্র কেএমসি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন নয়, রাজ্যে চিকিৎসকদের (Doctor) বৃহৎ সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’-ও প্রশ্ন তুলেছে টিকা দেওয়ার জায়গার পরিকাঠামো নিয়ে। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের যুগ্ম আহ্বায়ক হীরালাল কোঙার জানিয়েছেন, যে জায়গায় টিকা দেওয়া হচ্ছে সেখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সামাল দেওয়ার আপৎকালীন কি ব্যবস্থা আছে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয় যে সমস্ত মায়েরা শিশুদের স্তন্যপান করান তাঁদের টিকা নিতে বারণ করেছে ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে স্বীকৃত ভ্যাকসিন দু’টি নিলে গর্ভাবস্থায় বা ব্রেস্ট ফিডিং করানো মায়েদের যেকোনও অসুবিধা হবে না এরকম কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।