তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: এবার শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের নামে তৈরি হল ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (Fake Facebook Account)। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আর্থিক প্রতারণার চেষ্টাও করে প্রতারক। বিষয়টি জানার পর ফেসবুক লাইভ করে নিজেই সকলকে সতর্ক করলেন বিধায়ক। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
দলীয় কাজে বর্তমানে কলকাতায় রয়েছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ (Siliguri’s BJP MLA Shankar Ghosh)। পরিচিতদের মাধ্যমে আচমকাই জানতে পারেন, তাঁর নামে কে বা কারা ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিধায়কের পরিচিতদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা চেয়ে পাঠানো মেসেজে একটি অ্যাকাউন্ট নম্বরও দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি কানে আসামাত্রই রবিবার সকালে ফেসবুক লাইভ করেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি কোনওভাবেই টাকা দাবি করছেন না বলেই জানিয়ে দেন। কে বা কারা এ কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁর দাবি, পরিকল্পনামাফিক কেউ একাজ করছে। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানান বিজেপি বিধায়ক। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে ফেরার কথা বিধায়কের। তারপর এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা হবে বলে ফেসবুক লাইভ শেষ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: US Open: আঠেরোতেই বাজিমাত, একাধিক রেকর্ড গড়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন লন্ডনের এমা রাডুকানু]
শুধু বিজেপি বিধায়কই নন সম্প্রতি একই ঘটনার সাক্ষী হন শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার (Pabitra Sarkar)। তাঁর নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে টাকা চাওয়া হয়। টাকা চেয়ে পাঠানো মেসেজে ‘Urgent’-এর বদলে ‘Argent’ লেখে প্রতারক। শিক্ষাবিদের ভুল বানানে পাঠানো মেসেজ দেখে সন্দেহ হয় প্রতারকের। এ বিষয়ে পবিত্র সরকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। তারপরই প্রতারকের পর্দাফাঁস হয়। তবে কে বা কারা একাজ করল তা এখনও জানা যায়নি। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই ঘটনার তদন্ত করছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতারকদের খপ্পর থেকে বাঁচতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। অচেনা ব্যক্তির বন্ধুত্বের অনুরোধে সাড়া দেওয়ার আগে ভাল করে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা দরকার। সাম্প্রতিককালে তিনি টাইমলাইনে ঠিক কী কী শেয়ার করেছেন, তা একটিবারের জন্য দেখে নেওয়া উচিত। নইলেই বিপদ। প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অকারণ সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন যে কেউ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব পাতানোর আগে সাবধান হোন।