সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরিয়ারের ইঁদুরদৌড়ে শামিল প্রায় সকলেই। বড় বড় ডিগ্রিধারীরাও অনেক সময় একটা চাকরি জোটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অষ্টম শ্রেণি পাশেই রাজ্য সরকারি চাকরির মতো সুখবর কর্মপ্রার্থীদের কাছে আর কী-ই বা হতে পারে? তাই তো বন সহায়কের চাকরিতে আবেদন করেছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার থেকে ইন্টারভিউ (Interview) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই লাইনে কর্মপ্রার্থীদের ভিড় দেখেই অবাক প্রায় সকলেই। কোভিড বিধির যেমন কোনও পরোয়া নেই। তেমনই আবার অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতার বন সহায়কের চাকরির আবেদন করেছেন উচ্চশিক্ষিতরা।
বনসহায়ক পদে ইন্টারভিউতে মালদহে (Maldah) দেখা গিয়েছে আবেদনকারীর অধিকাংশই স্নাতক। এছাড়া স্নাতকোত্তর তো রয়েছে। তার পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট এমনকী পিএইচডি যোগ্যতার অনেকেই বনদপ্তরের এই চাকরিতে আবেদন করেছেন। ইন্টারভিউয়ের লাইনে উচ্চশিক্ষিতদের দেখে তাজ্জব হয়েছেন অনেকেই। আবেদনকারীদের কারও কারও অভিযোগ, উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি জোটেনি। তাই বাধ্য হয়েই বন সহায়ক পদেই চাকরির আবেদন করেছে তাঁরা। উচ্চশিক্ষিতরা যে আবেদন করেছেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন মালদহের ফরেস্ট ডিভিশনের সদর রেঞ্জ অফিসার সুবীর কুমার গুহ নিয়োগী। তিনি বলেন, “সম্ভবত চাকরির বাজার ভাল না হওয়ার ফলে উচ্চশিক্ষিতরাও আবেদন করেছেন।”
[আরও পড়ুন: একবছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন এলাকা, তবু মেটাতে হচ্ছে বিল! চরম সমস্যায় গ্রামবাসীরা]
মাসদুয়েক আগেই বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। শর্ত হিসাবে জানানো হয় আবেদনকারীকে শুধুমাত্র অষ্টম শ্রেণি পাশ এবং ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা এই শূন্যপদে আবেদন করতে পারেন। রাজ্যজুড়ে মোট দু’হাজারটি শূন্যপদের জন্য কমপক্ষে কয়েক লক্ষ আবেদনপত্র জমা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। শুধু মালদহই নয়। মালদহের মতো আরও বিভিন্ন জেলাতেও অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতার চাকরিতে আবেদন করেছেন অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিতরা।