দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: অনলাইনে কি না পাওয়া যায়। সেটা আমরা কমবেশি সবাই অবগত। এলিফ্যান্ট থেকে আলপিন সব পাওয়া যা এই অনলাইনে। কিন্তু বাঘের (Royal Bengal Tiger) দাঁত? এই রকম বিজ্ঞাপন দেখে চক্ষু চড়কগাছ অনেকের। বিষয়টি নিয়েই তদন্ত শুরু হতেই তুলে নেওয়া হয়েছে সেই বিজ্ঞাপনটিও।
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বেশ কয়েকদিন যাবৎ বিজ্ঞাপনটি চোখে পড়ছিল হুগলির একটি গ্রুপে। সেই গ্রুপেই একটি বাঘের দাঁতের ছবি দিয়ে জানানো হয় এটি বিক্রি করা হবে। হুগলির এইচ ডি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি গ্রুপ থেকে বাঘের দাঁত বিজ্ঞাপন করার কথা বলা হয়। প্রায় ৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দাম ধার্য করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয় ওই নির্দিষ্ট গ্রুপ থেকে। ইতিমধ্যে যে গ্রুপ থেকে এরকম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সেই গ্রুপের খোঁজ চালাচ্ছে বন্যপ্রাণ পাচার রোধ সংস্থা।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরির ফাঁদ, শহরের হোটেলে ডেকে তরুণীর শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, হুগলির তারকেশ্বরের স্টেশনের কাছে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখা আছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সামনের লম্বা দাঁত। অসমের একজন ইতিমধ্যেই প্রায় ৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দাম ধার্য করা হয়। এই বিজ্ঞাপনটি এইচ ডি এন্টারপ্রাইজ নামে জনৈক সংস্থার কাছে দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞাপনদাতা দাবি করেন, এটি তাঁর ঠাকুরদার সময়কার বাঘের দাঁত। তাঁদের বাড়িতে রাখা ছিল। ছবি-সহ সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন তিনি। ফেসবুকে দেখার পর বেশ কয়েকজন এ বিষয়ে উৎসাহও প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে রাজ্যের ওয়ার্ল্ড লাইফ ক্রাইমের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর ওম প্রকাশ বলেন, “আমরা এর আগেও অনলাইনে এভাবে বন্যপ্রাণীর দেহ বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছি। যে সংস্থার থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সেটির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে এভাবে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ বিক্রি বিজ্ঞাপন দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।”