দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনা আবহে মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়েছে। কর্মক্ষেত্রে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে অধিকাংশ মানুষই লোকাল ট্রেন ব্যবহার করতেন। কিন্তু করোনা অতিমারীর রূপ নেওয়ার পর থেকেই লোকাল ট্রেন বন্ধ। কিন্তু সাধারণের জন্য এই লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে ঠিকই। তবে কিছুদিন ধরেই রেলের আধিকারিকদের জন্য স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। কিন্তু ওই ট্রেনে সাধারণ মানুষের চড়া নিষিদ্ধ। এবার সেই স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার দাবিতেই সরগরম হুগলির (Hooghly) তিনটি স্টেশনে। চলল বিক্ষোভ, অবরোধ। রেলপুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে বিক্ষোভকারীদের মারধরের অভিযোগও।
রবিবার সকাল ছটায় বর্ধমান-হাওড়া ডাউন স্পেশ্যাল পেট্রলিং ট্রেন পান্ডুয়া ষ্টেশনে পৌঁছয়। তারপরই উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ওই স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ট্রেনের চালক এবং গার্ডের কেবিনেও ওঠার চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। তাতেই বাধা দেয় রেলপুলিশ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, স্পেশ্যাল ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেলপুলিশ তাদের মারধর করে। এরপরই উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে ওঠে। পাণ্ডুয়া ষ্টেশনে বর্ধমান-হাওড়া ডাউন স্পেশ্যাল ট্রেন আটকে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি একটাই, সকলকে ওই স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর কুয়েতে চম্পট, ৫ বছর পর পূর্ব মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে পাণ্ডুয়া ষ্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারাও। পাণ্ডুয়ার পাশাপাশি এদিন একই দাবিতে হুগলি ও বৈঁচি ষ্টেশনেও যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। তবে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ উঠে যায় অবরোধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আনলক ফাইভে অনেকেই আশা করেছিলেন মেট্রোর মতো রেল পরিষেবাও স্বাভাবিক হবে। তবে এখনও পর্যন্ত রেল পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্রমশই জনমানসে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।