স্টাফ রিপোর্টার: আর দিন দশেক বাকি। তার পরেই শেষ হচ্ছে রাজ্যের সরকার অধীনস্থ স্কুলগুলোতে গরমের ছুটি। কিন্তু, ২ জুন গরমের ছুটি শেষ হয়ে ৩ জুন থেকে বহু স্কুল খুললেও, শহরের একাধিক বিদ্যালয় ওইদিন থেকে খুলবে না বলেই জানা গিয়েছে। কারণ, স্কুলগুলোতে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে যাবে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। সেই কারণেই স্কুল খুলতে দেরি হতে পারে।
শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপিয়া নাগের কথায়, “৩ তারিখে স্কুল খোলা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে ৭ বা ৮ তারিখ আমাদের স্কুল খোলা হবে।” নারায়ণদাস বাঙুর মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়ার স্পষ্ট বক্তব্য, “এই মুহূর্তে আমাদের স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তারা যতদিন না স্কুল ছাড়বে, ততদিন আমরা ক্লাস চালু করতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: ৫ দিনের মধ্যে খুনের হুমকি! সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি অর্জুন সিংয়ের]
এই বিষয়ে চেতলা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সত্যবতী নাডকারেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তো বাচ্চাদের স্কুলে আনতে পারব না। দুই কোম্পানি অর্থাৎ ২০০ জন সিআরপিএফ জওয়ান থাকবেন আমার এখানে। ওঁরা কবে যাবেন আমরা এখনও জানি না। আর ওঁরা থাকাকালীন ক্লাসরুমই পাওয়া যাবে না। তাই যে রকম পরিস্থিতি হবে, সেই রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজার কথায়, “কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুল ছাড়তে ছাড়তে ৪-৫ তারিখ হয়ে যাবে। তার পর স্কুল পরিষ্কার করতে হবে। তাই ৩ জুন থেকে স্কুল খোলা সম্ভব নয়।”
তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় স্কুল না খুলতে পারলে বা স্বাভাবিক পঠনপাঠনে অসুবিধা হলে বিকল্প পথের কথা ভাবছে কয়েকটি স্কুল কর্তৃপক্ষ। যেমন, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শবরী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুরো স্কুল বন্ধ রাখা হবে না। তাই ৩ জুন থেকে একদিন নির্ধারিত কয়েকটি শ্রেণির ছাত্রীদের আনা হবে। পরের দিন ডাকা হবে অন্য শ্রেণিগুলোকে। আবার স্কুল খুলতে না পারলে অনলাইন মাধ্যমে পঠনপাঠন চালিয়ে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে চেতলা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার। সত্যবতীদেবী জানিয়েছেন, গরমের ছুটিতেও বেশ কিছুদিন অনলাইনে পঠনপাঠন চলেছে। গরমের ছুটি শেষের পর স্কুল খুলতে না পারলে আবার অনলাইন ক্লাস চালু করে দেওয়া হবে।