দিপালী সেন: জাতীয় শিক্ষানীতিকে ‘তুঘলকি’ আখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যে সেই নীতি কার্যকর হবে কি না তা খতিয়ে দেখতে কমিটিও গড়া হয়েছে। এর মধ্য়েই রাজ্যের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্য থেকে কার্যকর হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি। তাঁদের ওয়েবসাইটে সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়, সিস্টার নিবেদিতার মতো একাধিক স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি। ফলে এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী পাঠক্রম চালু হচ্ছে। ফলে এবার থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা হবে ৪ বছরের। তিন বছর পড়ার পর এমএ-র জন্য দুবছর পড়া যাবে। আবার চার বছরের স্নাতক কোর্সের পর কেউ চাইলে সরাসরি পিএইচডি করতে পারবেন। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুযোগ মিলবে এবার। তবে এ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: চাকরি ফেরতের দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে ববিতা]
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই স্নাতকে চারবছরের পাঠক্রম চালু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই পদ্ধতি কার্যকর করার আগে রাজ্য সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে চায়। চার বছরের স্নাতক কোর্স নিয়ে উপাচার্যদের কমিটি গঠন করেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে সেই কমিটি মত দেবে। তারপর এটা নিয়ে কথা হবে। এর মাঝেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল জাতীয় শিক্ষানীতি।