স্টাফ রিপোর্টার: সার্থক হল সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহদান। অগ্নিদগ্ধের শরীরে প্রতিস্থাপিত হতে চলেছে লোকসভার প্রয়াত স্পিকারের ত্বক। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ সোমনাথবাবুর মরদেহ এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালে পৌঁছায়। চক্ষুদান আগেই হয়ে গিয়েছিল। ‘গনদর্পণ’-এর ব্রজ রায় জানালেন, ‘ব্রেন ডেথ’ ছাড়া অন্য মৃত্যুর ক্ষেত্রে ত্বক, হার্টের ভালব, হাড়, কার্টিলেজের মতো কিছু দেহাংশ পুনর্ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু এদেশের যা পরিকাঠামো তাতে চক্ষু-ত্বক ছাড়া অন্য কিছু সংরক্ষণ করা মুশকিল। এটা ভেবে ভাল লাগছে, সোমনাথবাবুর ত্বক একজন অগ্নিদগ্ধ রোগীর কাজে লাগবে। কর্নিয়া একজনের চোখে আলো ভরে দেবে। এটাই তো দেহদান অঙ্গীকার আন্দালনের সার্থকতা।
[সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে নির্বাচনের পথে হাঁটুক প্রধানমন্ত্রী , দাবি কংগ্রেসের]
পিজির সুপার ডা. রঘুনাথ মিশ্র জানালেন, নিয়ম মেনেই সোমনাথবাবুর ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবার তা ‘ম্যাচিং’ করে এক বা একাধিক অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে। পিজি হাসপাতাল সূত্রের খবর, ত্বক গ্রহীতার তালিকা বেশ দীর্ঘ। কিন্তু কার ত্বক কার শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে তা কখনওই প্রকাশ্যে আনা হয় না। এটাই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের নিয়ম। সেই কারণেই প্রয়াত প্রাক্তন স্পিকারের ত্বক কার শরীরে প্রতিস্থাপিত হবে তা গোপন রাখা হবে। এমনকী সোমনাথবাবুর পরিবারও জানতে পারবে না গ্রহীতার নাম। রঘুনাথবাবু জানালেন, ‘স্কিন ব্যাঙ্ক’-এ ত্বক সংরক্ষণের সময় তাতে ‘দাতা’-র নাম উল্লেখ থাকে না। থাকে ‘ম্যাচিং’-এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য। কিছু নম্বর। সুতরাং কার ত্বক কার গায়ে লাগল তা ডাক্তারদেরও জানার উপায় নেই।
সোমনাথবাবুর ত্বকও পাউচবন্দি হয়ে চলে এসেছে পিজির স্কিন ব্যাঙ্কে। আজ-কালের মধ্যেই তা প্রতিস্থাপিত হবে। যদিও এই নিয়ে কিছু বলতে নারাজ প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. অরিন্দম সরকার। জানালেন, এই ব্যাপারে যা বলার অধিকর্তা বলবেন। এদিন অবশ্য বারবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি পিজির অধিকর্তা ডা. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে শহরের বিশিষ্ট প্লাস্টিক সার্জন কৌশিক নন্দী জানালেন, “প্রতিস্থাপিত হওয়ার পর সোমনাথবাবুর ত্বক অগ্নিদগ্ধের শরীরে খুব বেশি হলে ৩ সপ্তাহ থাকবে। তারপর প্রকৃতির নিয়মেই সেই ত্বক খসে পড়বে।”
[দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস, লালকেল্লায় ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর]
The post অগ্নিদগ্ধের শরীর ঢাকবে প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ত্বকে appeared first on Sangbad Pratidin.