সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তি থানার ভোলেরহাটের সর্দারপাড়ায় বৃদ্ধার মৃত্যুরহস্যে নাটকীয় মোড়। রবিবার রাতে পুলিশ মৃতার ছোট ছেলে দীপক রাইকেই মায়ের খুনে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের দাবি, মা সরস্বতী রাইকে যে সে-ই খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল তা স্বীকারও করেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন বৃদ্ধা সরস্বতী রাই। পুলিশের অনুমান, ২০ জানুয়ারি আনুমানিক রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বৃদ্ধাকে খুন করে বাড়ির ‘সেপটিক ট্যাঙ্ক’ পাতকুয়ায় দেহ ফেলে দিয়ে লোপাটের চেষ্টা করা হয়। রবিবার সকালে ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকেই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার ছোট ছেলে দীপক, তার স্ত্রী সুপর্ণা এবং স্থানীয় যুবক খোকন ফকিরকে আটক করে দফায় দফায় জেরা করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে জানান, মৃতার ভাই রামচন্দ্র পাসোয়ানের পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রণবপুত্রেই ভরসা তৃণমূলের! বিজেপির প্রতীকে লড়বেন কে?]
গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার ছোট ছেলে দীপককে। ধৃত দীপকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্তকে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে উস্তি থানার পুলিশ। কিন্তু কেন মাকে খুন করল ছেলে? খুনের পিছনে কি মোটিভ থাকতে পারে? ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরে চরম হতাশা গ্রাস করেছিল দীপককে।
তাছাড়া পারিবারিক সম্পত্তির অধিকার নিয়েও মা ও ছেলের বিবাদ চলছিল । এসডিপিও জানান, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বহু বছর আগে অপর এক সন্তানকে ফেলে রেখে দীপককে সঙ্গে নিয়েই স্বামীর ঘর ছেড়ে স্বামীর বন্ধু জনৈক ইসমাইলের সঙ্গে পালিয়ে এসেছিলেন সরস্বতী। খুনের মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চায় পুলিশ।