বিক্রম রায়, কোচবিহার: শ্বশুরের সঙ্গে পরকীয়ায় মজেছেন বউমা! এমন সন্দেহের বশে বৃদ্ধ বাবাকে খুন করার অবিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকায় জোড়পাটকি এলাকায়। ছেলে ও বউমাকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিন সকালে মাথাভাঙা থানার পুলিশের কাছে কাজল শীলের মৃত্য়ুর খবর আসে। পুলিশ গিয়ে দেখে, বাড়ির মেঝেতে সন্দেহজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। খুনের অভিযোগ উঠেছে ছেলে মিঠুনের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে নিজের বাবার প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করত মিঠুন। এনিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার অশান্তি হয়েছে। এমনকী, বৃদ্ধ কাজল শীলকে মারধরও করত মিঠুন।
[আরও পড়ুন: সরকারই গণতান্ত্রিক অধিকার কাড়ছে’, ঝালদা পুরসভায় রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি অধীরের]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, শ্বশুর ও বউমার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে শীল পরিবারে লাগাতার অশান্তি চলত। বৃদ্ধ কাজল শীলকে মারধরও করত ছেলে। এনিয়ে শনিবার সালিশি সভাও বসেছিল। পড়শিদের ডাকা হয় সেখানে। হস্তক্ষেপ করেছিল পঞ্চায়েতও। অশান্তি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল সেই সভায়। এরপর রাতেই ঘটে যায় বিপত্তি। অভিযোগ, রাতেই বাবাকে খুন করে ছেলে।
মৃতের বউমার দাবি, “রাতে এসে মিঠুন আমাকে ডেকে তোলে। বলে বাবাকে মেরে ফেলেছি।” তিনি স্বীকার করে নেন স্বামীর সন্দেহের কথাও। আর সেই সন্দেহের বশেই বাবাকে খুন করল ছেলে। এদিন সকালে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ছেলে ও বৌমাকে আটক করে জেরা করছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। এদিকে দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙ্গা মর্গে।
[আরও পড়ুন: চিৎপুরে পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কা বাইকে, ঘটনাস্থলে মৃত্যু মহিলার, আহত আরও ১]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের বউমা মালদহের বাসিন্দা। দুবছর আগে অন্য একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। ৯ মাস আগে স্বামী-সন্তান ছেড়ে কাজলের সঙ্গে পালিয়ে এসেছিলেন। তারপর থেকে একসঙ্গে থাকতেন তাঁরা। এর মধ্যে ঘটে গেল এই ঘটনা।