সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মাকে খুন করে প্লাস্টিক জড়িয়ে ঘরে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহেশতলায়। অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা। এই ঘটনা মৃতার ছেলে ও বউমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আকড়া জগন্নাথ নগর দত্ত বাগানে প্রভা নাথ (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা তাঁর ছেলে বউমাকে নিয়ে থাকতেন। তাঁর এক মেয়ে রাঁচিতে ডাক্তারি পড়েন। লোকের বাড়ি কাজ করে এবং যখন যেরকম কাজ পেতেন সেই কাজের পয়সা জমিয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করাতেন প্রভাদেবী। স্বামীর মৃত্যুর পর খুব কষ্ট করে একটি টিনের ছাওনি ঘর তৈরি করতে পারলেও, পাশের ঘরটি তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘরটি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে প্রায়শই মায়ের উপর চাপ দিত ছেলে। দোসর হত বউমাও। কিন্তু প্রভাদেবী কোনওভাবেই সম্পত্তি লিখে দিতে চাননি। তা নিয়ে মূলত ছেলে-বউমার সঙ্গে বৃদ্ধার অশান্তি।
[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে বাতিল একগুচ্ছ লোকাল, চরম নাকাল যাত্রীরা]
প্রতিবেশীদের দাবি, শুক্রবার শেষ দেখা গিয়েছে প্রভা নাথকে। গতকাল রাতে মহেশতলা থানার পুলিশ পৌঁছলে প্রতিবেশীরা জানতে পারেন প্রভাদেবী খুন হয়েছেন। জানা গিয়েছে, দেহে পচন ধরায় এবং অতিরিক্ত গন্ধ বের হওয়ায় ছেলেই বাধ্য হয়ে মহেশতলা থানায় ফোন করে তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবরটি দেয়। সে পুলিশকে জানিয়েছে তাঁর মা মৃত অবস্থায় ঘরের পাশে পড়ে রয়েছে।
মহেশতলা থানার পুলিশ অনির্মিত ওই বাড়ির ভিতের থেকেই প্লাস্টিক জড়ানো পচা গলা দেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই মহেশতলা থানার পুলিশ ছেলে বিজয় নাথ এবং তাঁর স্ত্রী মালতি নাথকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আজ ফরেন্সিক টিমের ঘটনাস্থলে আসার কথা। পুলিশের জেরায় ধৃত ছেলে ও বৌমা দুজনেই খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাই পারিপার্শ্বিক সাক্ষীর ভিত্তিতে পুলিশ এই দুজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু করে আজ আলিপুর আদালতে পাঠাবে।