সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ ভাল নেই। এই অঞ্চলের মন কি বাত প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরলেন বাস্তবের ফুংসুক ওয়াংডু (Phunsukh Wangdu)। একটি ভিডিও প্রকাশ করে সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk) বলেছেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত লাদাখের মানুষ। রাজনীতি থেকে সরকারি প্রকল্প-একাধিক কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে লাদাখের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষ। সমস্ত ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সোনম ওয়াংচুক। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। তারপর পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব সেই অঞ্চলের বাসিন্দারা। রাজনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি পরিবেশের ক্ষতির কথাও নিজের ভিডিওতে তুলে ধরেছেন সোনম ওয়াংচুক।
দীর্ঘদিন ধরেই লাদাখের মানুষ দাবি করেছেন, পূর্ণ রাজ্য হিসাবে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দেওয়া হোক তাঁদের। রাজ্যের স্বীকৃতি না হলেও, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিতে সরব লাদাখের মানুষ। প্রকাশিত ভিডিওতে এই বিষয়টিই তুলে ধরেছেন সোনম। তাঁর মতে, লাদাখ সংক্রান্ত একাধিক সিদ্ধান্তের কারণে ক্রমেই ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এই এলাকা। নীতি নির্ধারণে যদি এইভাবে গাফিলতি হতে থাকে, তাহলে লাদাখের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহ গলে যাবে। মানুষের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার ফলে দ্রুত গতিতে গলছে হিমবাহ, এমনটাই জানা গিয়েছে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়।
[আরও পড়ুন: রাস্তায় চওড়া ফাটল, যোশিমঠের পর এবার বিপদের মুখে বদ্রীনাথ]
এহেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) কাছে সোনমের আবেদন, লাদাখে অত্যধিক শিল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। তার ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। আপাতত মানুষের জীবিকার সুবিধা হলেও কয়েকদিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা লাদাখ। তাই লাদাখ-সহ হিমালয়ের অন্যান্য অঞ্চলকে রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। ভিডিওতে প্রধানমন্ত্রীকে সাফ বার্তা দিয়ে সোনম জানিয়েছেন, “আপনি হস্তক্ষেপ করুন। সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী লাদাখের প্রকৃতিকে বাঁচান।” ২৬ জানুয়ারি থেকে পাঁচ দিনের জন্য ধরনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। মাইনাস ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ধরনা চলবে।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের (Kashmir) অংশ হিসাবেই ভাল ছিল লাদাখ, এই কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকারের বিশেষ কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান লাদাখের নেতৃবৃন্দ। তাঁদের মতে, একাধিক প্রতিশ্রতি দিয়েও তা পূরণ করেনি মোদি সরকার। তাই সাফ বার্তা দিয়ে লাদাখি (Ladakh) নেতাদের বক্তব্য, যতদিন পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি পাচ্ছে না লাদাখ,ততদিন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না তাঁরা। চিনের সঙ্গে বিবাদের মধ্যে লাদাখি নেতাদের মনোভাব নিয়ে বেশ বেকায়দায় কেন্দ্র। তাদের অস্বস্তি আরও বাড়াবে সোনমের মন্তব্য।