দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কসবার দেবাঞ্জন দেবের (Debanjan Deb) পর পুলিশের জালে ধরা পড়েছে সোনারপুরের মিঠুন মণ্ডল। তবে দেবাঞ্জনের মতো ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্প চালায়নি মিঠুন। তার বিরুদ্ধে উঠেছে সরকারি রেজিস্টারে কারচুপি করে টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ। এই ঘটনায় মিঠুনের আরেক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু একটিমাত্র ক্যাম্প নয়। অন্ততপক্ষে ৪-৫টি বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল মিঠুন। টিকাপ্রাপকদের কাছ থেকে ৩০০-৪০০ টাকা করে নেওয়াও হয়েছিল। কমপক্ষে ৪৫ জন তার বেআইনি ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছিলেন বলেই এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। ধৃত মিঠুন মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পঞ্চগ্রাম প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের ফার্মাসিস্ট ছিল। সে মশাট সাবসেন্টারের ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজও করেছে। ১৫ হাজার টাকার চাকরি ছেড়ে সোনারপুরে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন সেন্টারে কোঅর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করছিল।
[আরও পড়ুন: T-20 ম্যাচের আগে হার্দিকের মুখে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত! কী বললেন নেটিজেনরা?]
পুলিশ মনে করছে, সেই সূত্রে সরকারি রেজিস্টারে কারচুপি করে ভ্যাকসিন (Vaccine) দিচ্ছিল সকলকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই মশাট সাবসেন্টারের ভ্যাকসিনের রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেছে। কারণ, পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে ওই রেজিস্টারে যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকেরই নাম পোর্টালে নেই। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও সার্টিফিকেট তো দূর এসএমএস-ও পাননি তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় তাঁদের। এরপরই থানায় জানান তাঁরা। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে স্থানীয় এক এজেন্টের মাধ্যমে বেআইনিভাবে টিকা দেওয়ার কাজ করছিল মিঠুন। তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে সোনারপুরের (Sonarpur) রূপনগর থেকে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে, মিঠুন মণ্ডলের এমন কীর্তিতে হতবাক তার স্ত্রী। তিনি বলেন, “ও সৎই ছিল। কোথা থেকে কী হয়ে গেল জানি না। তবে তদন্ত হোক। ঘটনাটি পরিষ্কার হওয়া উচিত।” মিঠুন কোনওদিন বাড়িতে ভায়াল বা টিকাকরণ সংক্রান্ত অন্য কিছু নিয়ে আসেনি বলেও দাবি তাঁর স্ত্রী-র। এখনও মিঠুনকে তিনি বিশ্বাস করেন বলেই দাবি। দ্রুত স্বামী বাড়ি ফিরে আসুক তাই চান মিঠুনের স্ত্রী।