সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জেরার মুখে পড়তে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ (National Herald) অর্থ তছরুপ মামলায় আবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কবে তাঁদের ইডি দপ্তরে ডাকা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। সূত্রের খবর, গত কয়েক পর্বে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট নয় ইডি।
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জুন মাসে প্রথম সোনিয়া ও রাহুলকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। একাধিকবার দিন পরিবর্তনের পর দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই রাহুলকে পাঁচদিন ধরে ৫০ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। সোনিয়াকেও সম্প্রতি তিনদিন ধরে জেরা করা হয়েছে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরও সন্তুষ্ট নয় ইডি। সে কারণে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ফের তাঁদের ডাকা হতে পারে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ মুখ্যমন্ত্রীর, উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীও]
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে নেমে এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে মতিলাল ভোরা (Motilal Bhora) অ্যাসোসিয়েটেড ও ইয়ং ইন্ডিয়ার বোর্ডের কোনও অংশ ছিলেন। ভোরা দীর্ঘদিন কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ থাকা সত্ত্বেও তাঁর নাম বা স্বাক্ষর ইয়ং ইন্ডিয়ার কোনও কাগজে নেই। এর থেকে স্পষ্ট যে, ইয়ং ইন্ডিয়া গঠনের সময় শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। মতিলাল ভোরার নামও এজেএল ও ইয়ং ইন্ডিয়া উভয়েরই কোনও কাগজপত্রে নেই। অর্থাৎ কোনও সিদ্ধান্ত ও বৈঠকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুধু জয় নয়, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ব্যবধানেও রেকর্ড ধনকড়ের, নেপথ্যের কারণ নিয়ে চিন্তায় বিরোধীরা]
যথারীতি ইডির এই তৎপরতাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের (Congress) দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ”যেভাবে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছিল, সেভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। এভাবে সংবিধান অনুযায়ী কাজ করা যায় না।” রাহুল গান্ধীও এদিন হুঙ্কার ছেড়েছেন, ”আমরা ভয় পাই না। বিজেপি যা খুশি করুক। আমি দেশকে রক্ষা করার কাজ করে যাব। গণতন্ত্র ও সৌভ্রাতৃত্বকে রক্ষা করব।”