সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েকদিনের টানাপোড়েন, জল্পনা-কল্পনার অবসান। পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলেন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কয়েকজন দলীয় সাংসদের আপত্তি সত্ত্বেও সিধুকে মহার্ঘ পদে বসালেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে তিনি একা নন, সিধুর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতিকেও। যারা কিনা মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং শিবিরের লোক। এই চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতি হলেন সগন্ত সিং গিলজিয়ান, সুখবিন্দর সিং ড্যানি , পবন গোয়েল এবং কুলজিত সিং নাগরা।
দলে সিধুর এই বিরাট উত্তরণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসের (Punjab Congress) অন্দরে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সিধুর এই উত্তরণ মানতে পারছিলেন না। হাই কম্যান্ডের কাছে সিধুর আচরণ নিয়ে নালিশও জানিয়েছিলেন। উলটো দিকে সিধু গত কয়েকদিনে শুধু শক্তি সঞ্চয় করে গিয়েছেন। গতকাল রাতে ৩০ জন দলীয় বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করে রীতিমতো চমকে দিয়েছিলেন তিনি। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে। তারপরই রবিবার রাতে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি পদে সিধুর নাম ঘোষণা করা হল।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ বিপ্লব দেবই, ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর]
আসলে সিধুর সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের বিবাদ পুরনো। বছর চারেক আগে বিজেপি থেকে কংগ্রেস যোগ দেন সিধু। ২০১৭ নির্বাচনে তাঁকে অমরিন্দরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোটপ্রচার করতেও দেখা যায়। আবার ভোটের পর প্রাক্তন ক্রিকেটারকে মন্ত্রীও করেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু সেই সুসম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কিছুদিন বাদেই সিধুকে মন্ত্রিসভায় একপ্রকার একঘরে করে দেন ক্যাপ্টেন। সিধুও অপমানিত হয়ে ২০১৯ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। অমরিন্দরের সঙ্গে কাজ করতে না পারায় সিধুকে কেন্দ্রীয় স্তরে দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস। তাঁকে তারকা প্রচারক হিসেবে লোকসভা ভোটে প্রচারও করানো হয়। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে আবার নতুন করে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চাইছেন এই প্রভাবশালী নেতা। পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ অমরিন্দর সিংকেই আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রকাশ্যে চলে আসে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দল ছেড়ে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেবেন সিধু। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকে দলে ধরে রাখতে বড়সড় পদ দিয়ে দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।