সোমনাথ রায়, উদয়পুর: আগামী লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না সোনিয়া গান্ধী? উদয়পুরে কংগ্রেসের নবসংকল্প শিবিরে শোনা যাচ্ছে এমনই ফিসফাস। বয়স ৭৫। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার উপর আবার আসতে চলেছে এক পরিবার-এক প্রার্থীর নিয়ম। সব মিলিয়ে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারেন কংগ্রেস দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। যদিও দলের নিয়মে সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কার একসঙ্গে অংশ নিতে কোনও সমস্যা নেই। তবু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সোনিয়া এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে কংগ্রেসের (Congress) একটি সূত্রের দাবি। সেক্ষেত্রে গান্ধী পরিবার থেকে টিকিট পাবেন শুধুই রাহুল (Rahul Gandhi)। বিয়ে হয়ে যাওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে অ-গান্ধী হিসাবেই দেখা হতে পারে।
তিনদিন ব্যাপী নবসংকল্প শিবিরের প্রথম দিনে সংগঠনকেন্দ্রিক কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত মিলেছিল। শনিবার দ্বিতীয় দিনেও শোনা গেল বড় এক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত। এখন থেকে দু’বারের বেশি কাউকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেবে না কংগ্রেস, এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে। তবে ফাঁকও থাকতে পারে। মেয়াদ শেষের পর কোনও সাংসদ লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতেই পারেন। তবে মনোনয়নের ভিত্তিতে দু’বারের বেশি কাউকে সাংসদ না করার প্রস্তাব বৈঠকে দিয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। দেখার শুধু, এই প্রস্তাব গৃহীত হয় কিনা।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে বামপন্থী আন্দোলনই বিকল্প’, DYFI সম্মেলনে বার্তা পাঠালেন বুদ্ধদেব]
কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের দ্বিতীয় দিন একাধিক সাব কমিটির বৈঠকে ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে যে যে রাজ্যে শক্তি কম, সেই সেই রাজ্যে বিজেপি (BJP) বিরোধী শক্তিশালী স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে জোট করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শনিবার সেই প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা হতেই বিরোধিতা শুরু করেন রাজ্য নেতারা। তাঁদের বক্তব্য এভাবে জোট করলে যেটুকু সংগঠন ছিল, সেটাও আর থাকবে না।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হবে বাড়ি, শেষবেলায় জিনিসপত্র গুছিয়ে ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি বউবাজারে বাসিন্দাদের]
এদিন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। যার মধ্যে একটি দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের দীর্ঘদিনের দাবি। সব ঠিক থাকলে ও রবিবার সকালে কর্মসমিতির বৈঠকে সিলমোহর লাগলে কংগ্রেস ইলেকশন কমিটির বদলে তৈরি হতে চলেছে কংগ্রেস পার্লামেন্টারি বোর্ড। যাদের কাজ হবে লোকসভা ও বিধানসভার প্রার্থী বাছাই করা। বিক্ষুব্ধ নেতারা দীর্ঘদিন এই দাবি করেছেন। শোনা যাচ্ছে, এদিন বৈঠকে গান্ধী ঘনিষ্ঠরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। নতুন কমিটির সদস্য নির্বাচন করা হবে না সভাপতি মনোনীত করবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অংশ, সংখ্যালঘু-সহ বিভিন্ন অনুন্নত শ্রেণির জন্য সব কমিটিতে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাবও প্রাথমিক মঞ্জুরি পেয়েছে।