স্টাফ রিপোর্টার : রাজ্য বিজেপিতে (BJP) প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং সেই বিবাদই সংগঠনকে শক্তিশালী করার পথে মূল অন্তরায় বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দিল্লি থেকে কেউ আসবে না। দলকে শক্তিশালী হতে দিল্লির নির্ভরতা কাটাতে হবে। বঙ্গ নেতাদের নিজেদের স্বনির্ভর হতে হবে। রাজ্য বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষদিনে বুধবার সেকথাই স্পষ্ট করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। তাঁর কথায়, “নিজেদের সমস্যা, অভিযোগ, গন্ডগোল নিজেরাই মেটান। দিল্লি থেকে অমিত শাহ (Amit Shah), নাড্ডাজিকে কেন আসতে হবে। দিল্লিতে (Delhi) নালিশ জানাতে যান কেন?”
সন্তোষ বলেন, সুকান্ত-শুভেন্দুকে একসঙ্গে বসাতে দিল্লির নেতাদের ডাকতে হবে কেন? রাজ্য নেতাদের সতর্ক করে সন্তোষ বলেছেন, রাজ্যের অনেক নেতার বিরুদ্ধেই প্রতিদিন ১৫টি করে মেল আর হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ দিল্লিতে আসছে। জেলা সভাপতিদের সতর্ক করে বলেছেন, “আমিই সব এটা মনে করবেন না। বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে সমন্বয় রাখুন।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ’, মঙ্গলকোট মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে দাবি অনুব্রতর]
এদিনই রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে আসা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোট ১৮টি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতা আরও খর্ব হল বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিনই নয়া পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের সুরেই সুর মিলিয়ে অন্য দলের কর্মীদের বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তবে এদিনই আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা সরাসরি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) রাজ্য সভাপতি সুকান্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: সংকীর্ণতা ভুলে শামিল হোক সবাই, দুর্গাপুজোর ধন্যবাদ মিছিলের আগে বার্তা মমতার]
‘বিভেদ’ কাঁটা আর ‘বৈভব’ বিতর্ক নিয়েই বিলাসবহুল রিসর্টে এদিন শেষ হয়েছে বঙ্গ বিজেপির তিনদিনের পাঠশালা। দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী শিবিরকে ‘পিকনিক’ বলে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলও (TMC) বিজেপির এই ‘পিকনিক’ শিবির ও বিজেপি নেতাদের অন্য দল ভাঙানোর কৌশলকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, “বিজেপি নেতাদের ভাষণ থেকে পরিষ্কার ওরা বুঝে গিয়েছে এদের দিয়ে কিছু হবে না। ভোটের আগে যোগদান মেলা দেখেছি। চার্টার্ড ফ্লাইটে যারা গিয়েছিল, তারাই অটো ধরে তৃণমূলে ফিরতে চাইছে। বিজেপিতে আর থাকতে পারছে না। বিজেপির তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। ওদের দলে নেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সিদ্ধান্ত নেবেন। ততদিন তাঁদের বলছি ভিতরের খবর পাঠিয়ে যান।”