সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বপ্নের ওয়ানডে সিরিজ জয়। এ সফরের স্মৃতি চিরকাল হাসি ফোটাবে বিরাট-রোহিত-ধোনিদের মুখে। কিন্তু বাইশ গজের স্মৃতি যতই সুখকর হোক, মাঠের বাইরে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের মুখে হাসি ফুটল না। কারণ হল মনের মতো খাবার না পাওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকায় খরার কারণে জলের অভাব তো ছিল প্রথম থেকেই। তার উপর সুস্বাদু ভারতীয় খাবারও জুটছিল না বিরাটদের। কথায় বলে পেট খুশি তো সব খুশি। কিন্তু মনের মতো খাবার না পেয়েও টেস্ট সিরিজ হারের হতাশা ঝেড়ে ওয়ানডে-তে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে একের পর এক ম্যাচ জিতেছে বিরাটবাহিনী। সেঞ্চুরিয়নে প্র্যাকটিস এবং ম্যাচের দিন যে কেটারিং সংস্থা দুই দলকে খাবার দেওয়ার দায়িত্বে ছিল, তাদের খাবার একেবারেই পছন্দ হয়নি ধাওয়ান-রাহানেদের বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে খাবার পরিবেশনের চাকরি খোয়ালো ওই স্থানীয় সংস্থা। তার পরিবর্তে প্রিটোরিয়ায় গীত নামের একটি ভারতীয় রেস্তরাঁ থেকে খাবার আনানোর ব্যবস্থা করা হয়। রেস্তরাঁর ম্যানেজার বলেন, “স্থানীয় কেটারারদের খাবার ক্রিকেটারদের পছন্দ হচ্ছিল না। তাই আমাদের ভাড়া করা হয়। আমরা তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। তবে কেবলমাত্র ভারতীয় ড্রেসিংরুম এবং টিম ইন্ডিয়ার আধিকারিকদেরই খাবার দিচ্ছি আমরা।”
[ওয়ানডে কেরিয়ারে ক’টা সেঞ্চুরি করবেন কোহলি, ভবিষ্যদ্বাণী করলেন শেহবাগ]
স্থানীয় কেটারার সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিরাটরা বাড়ির মতো খাবার চেয়েছিলেন। কেটারাররা তাদের বিভিন্ন ধরনের তরি-তরকারিই রান্না করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় রেস্তরাঁর তুলনায় তাঁদের হাতে তৈরি খাবারের স্বাদ ও গন্ধ অনেকটাই আলাদা। সেই কারণেই বিরাটদের তা পোষায়নি। অন্য কোনও দলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়নি কখনও বলেও জানান তাঁরা। জোহনেসবার্গ-সহ অন্যান্য ভেন্যুতেও বিরাটদের জন্য বিদেশি কেটারারদের দায়িত্ব না দিয়ে ভারতীয় রাঁধুনিই নিয়োগ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
জানেন কি সেঞ্চুরিয়নে টিম ইন্ডিয়ার খাবারের মেনুতে কী কী ছিল?
দুই দলেরই ব্রেকফাস্টে ছিল ঘরে তৈরি গ্রানোলা, অল-ব্রান ফ্লেকস, হাই প্রোটিন সেরিয়েল, ঘন গ্রিক দই, ফ্যাট মুক্ত দুধ ও আলমন্ড দুধ, তাজা ফল, শুকনো ফল, রোস্টেড বাদাম, চা অথবা কফি। যদিও বিরাটরা অতিরিক্ত অমলেটের অর্ডারও দিয়েছিলেন। ভারতীয় দলের দুপুরের খাবারে ছিল চিকেন রেজালা/ চিকেন আলেপ্পি, ল্যাম্ব সেয়াল। নিরামিষের মধ্যে দুরকমের ডাল, পালং পনীর, বাটার নান এবং বাসমতি চালের ভাত।
[প্রোটিয়াদের হেলায় হারিয়ে সিরিজ ভারতের, রান তাড়ায় সর্বকালের সেরা বিরাট]
রবিবার থেকে শুরু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মনের মতো খাবার খেয়ে বিরাট অ্যান্ড কোং এবার প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।
The post খাবার না-পসন্দ বিরাটদের, চাকরি খোয়ালেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাঁধুনি appeared first on Sangbad Pratidin.