রাজা দাস, বালুরঘাট: জাল নথি বানিয়ে বছরভর বাংলায় বাস বাংলাদেশি নাগরিকের! খবর পেয়ে সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ এলাকা থেকে অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তার আশ্রয়দাতাকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদিন দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হলে সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সে কোথা থেকে জাল নথি বানিয়েছিল, জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
ধৃতের নাম রবিউল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুরের দণ্ডপানি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় একবছর আগে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে ঢুকেছিল সে। কুমারগঞ্জের জাকিরপুরের ৪২ বছরের বাসিন্দা খাইরুল মণ্ডলে বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুজনে একসঙ্গে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজও করত। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের কানে বিষয়টি পৌঁছতেই অ্যাকশন নিল তারা। অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তারির পাশাপাশি পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে রবিউলের জাল আধার কার্ডও উদ্ধার করে। কোথা থেকে এই নথি তৈরি করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
দুজনকে আদালতে তুলে দশদিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। বিচারক সাতদিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন। দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। জানতে চাইবেন, অনুপ্রবেশে মদত দিয়েছিল কারা? কাদের সাহায্য়ে তৈরি হয়েছিল জাল আধার কার্ড? আর কারা কারা রাজ্যে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে?
সীমান্তের ওপারে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এ রাজ্যে সতর্ক প্রশাসন। অনুপ্রবেশের দিকে রয়েছে কড়া নজর। আর সেই কড়াকড়ির মধ্যে একের পর এক সীমান্তবর্তী জেলা থেকে অবৈধ নাগরিকদের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে। যারা জাল নথি বানিয়ে দিব্যি বাংলার বাসিন্দা হয়ে গিয়েছে।