বিধান নস্কর, দমদম: পুজোর মুখে ডেঙ্গুর ভয়াল রূপ। মশাবাহিত রোগে আবারও প্রাণহানি। দক্ষিণ দমদমে মৃত্যু হল এক তরুণীর। এই নিয়ে দক্ষিণ দমদমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।
মৃত বছর কুড়ির সমাপ্তি মালিক, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। প্রথমে বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে নাগেরবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই সময় রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। শনিবার রাতে সমাপ্তির অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সমাপ্তি মল্লিকের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।
[আরও পড়ুন: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাৎ! কনস্টেবলের পর এবার কাঠগড়ায় হোম গার্ড]
উল্লেখ্য, রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার জেলাশাসক, সিএমওএইচদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব। বৈঠক চলাকালীন ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যসচিব পুর ও নগরোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১২৮টি পুরসভার কাউন্সিলরদের ডেঙ্গু নিয়ে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে বৈঠক করতে হবে।
সচেতনতার কর্মসূচি নিতে হবে। সেগুলি পুরপ্রধানকে জানাবেন কাউন্সিলর। পুরসভার পক্ষ থেকে তা জেলাশাসক এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামীর রূপরেখা ঠিক হবে। প্রত্যেক পুরসভাকে ফিভার ক্লিনিক চালু করতে হবে। পুর হাসপাতালে ১০টি করে শয্যা বরাদ্দ রাখতে হবে ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য। ২৪ ঘণ্টা রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
দেখুন ভিডিও: