সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হল সামরিক আইন। মঙ্গলবার এই আপৎকালীন নির্দেশ জারি করার সময় সেদেশের প্রশাসনের তরফে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিরোধীদের। দাবি করা হয়েছে, দেশের বিরোধী দলগুলি সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা উত্তর কোরিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল। এবং সেই কারণেই দেশবিরোধী চক্রান্ত করছে। আর তাই এহেন পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করা হল।
এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল লাইভ সম্প্রচারে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে পরাহত করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে তাঁর এই ঘোষণার প্রভাব জনমানসে কতটা পড়েছে তা এখনও জানা যায়নি। যদিও বিরোধী দলগুলি দ্রুত এই বিষয়ে তাদের অবস্থান ঠিক করতে একটি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন ইওল। তার পর থেকেই তিনি সংসদের নিজস্ব ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখানে বিরোধী দলগুলি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে তাঁর দল পিপল পাওয়ার পার্টি তথা পিপিপির থেকে। সম্প্রতি ২০২৫ সালের বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে শাসক পিপিপি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দলের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে তাঁর স্ত্রী ও তাঁর সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির মামলার স্বাধীন তদন্তের দাবি নাকচ করেও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েন ইওল।