সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুঙ্গারপুর মামলায় (Dungarpur Case) সমাজবাদী পার্টির বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আজম খানকে (Azam Khan) ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের রামপুর এমপি-এমএলএ আদালত। এই মামলায় আরও ৩ জনকে ৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে ২ বছরে মোট ৫ টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পেলেন সপার বাহুবলী নেতা।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) শাসনকালে আসরা আবাস প্রকল্পে সরকারি আমলাদের জন্য বাড়ি বানানো হয় দুঙ্গারপুরে। কিন্তু আগে থেকেই এই জায়গায় অনেকে বসবাস করছিলেন। তবে বাহুবলী নেতার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে ওই জমিকে সরকারি জমি দেখিয়ে সব বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। পাশাপাশি লুটপাটেরও অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন:‘শক্তির বিনাশ হতে দেব না’, রাহুলকে কটাক্ষ করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মোদি]
২০১৯ সালে এই ঘটনায় রামপুরের গঞ্জ থানায় এক ডজনের বেশি আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ওঠে, সপা সরকারের আমলে আজম খানের নির্দেশে পুলিশ ও এসপিরা বাড়ি তৈরির জন্য জোর করে বাড়ি খালি করেন। বুলডোজার দিয়ে সেখানে তৈরি সব বাড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়। এই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সোমবার ৭ বছরের জন্য আজম খানকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। তাঁর পাশাপাশি ৫ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আজহার আহমেদ খান, ঠিকাদার বরকত আলি, অবসরপ্রাপ্ত সিও আলে হাসানকে।
২০১৯ সালে ভুয়ো জন্ম শংসাপত্র মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে জেলবন্দি আজম খান। ৭ বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি আজমের স্ত্রী তানজিন ফাতিমা ও ছেলে আবদুল্লা আজমকেও ওই মামলায় ৭ বছরের সাজা শুনিয়েছে আদালত। বর্তমানে আলাদা আলাদা জেলে বন্দি পুরো পরিবার। উত্তরপ্রদেশের সোনাপুর জেলে রয়েছেন আজম খান। সোমবার দুঙ্গারপুর মামলায় সাজা ঘোষণার সময় ভারচুয়ালি সেখানে উপস্থিত ছিলেন একদা উত্তরপ্রদেশের এই বাহুবলী নেতা।