ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সফর, স্টাডি টুর। সরকারি খরচে সেসব জায়গায় যাওয়ার কথা বিধানসভার বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। কমিটির চেয়ারম্যান, বিধায়করা সাধারণত এ ধরনের টুরে যান। তবে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, এ ধরনের স্টাডি টুরের (Study Tour) জন্য মাত্রাতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। কিন্তু কেন? কারণ জানতে পেরে কার্যত খেপে লাল বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সবকটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে সতর্ক করে দিলেন তিনি। জানালেন, এ বিষয়ে সাবধানী হতে। নিয়মের বাইরে বেরিয়ে কোনও স্টাডি টুর নয়। অন্যথায় কড়া শাস্তি হবে।
কিন্তু আসল ব্যাপার কী? কেন স্টাডি টুরের খরচ এত বেশি? সূত্রের খবর, সম্প্রতি কয়েকটি জেলা প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে স্পিকারের কাছে। যেমন পুরুলিয়া (Purulia) জেল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল কমিটির মোট ১২ জন সদস্যের। কিন্তু সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন ৫৪ জন! জেলা প্রশাসনকেই এত জনের যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করতে হয়। সেক্ষেত্রে ১২ জনের বদলে ৫৪ জনের জন্য ব্যবস্থা করা কার্যতই সমস্যার।
[আরও পড়ুন: অভিযুক্ত সাধুকে ধরতে ভক্তের বেশে পুলিশ, মালা, মিষ্টির আড়ালেই রিভলবার!]
খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেল, শুধু কমিটির চেয়ারম্যান বা সদস্যরাই নন, সরকারি খরচে পরিদর্শনে যাচ্ছেন তাঁদের স্ত্রী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়রাও। ফলে লোকসংখ্যা বাড়ছে এবং দেদার খরচ হচ্ছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত বৈঠকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের রীতিমতো কড়া ধমক দেন। বোঝান, এসব স্টাডি টুর ঘুরে বেড়ানোর জন্য নয়ষ, কাজের জন্য। তাতে অধিক লোকজন নিয়ে যাওয়া একেবারেই নিয়মবিরুদ্ধ। পাশাপাশি সরকারি কোষাগারে চাপ পড়ে। তাই এবার থেকে একেবারেই আড়ম্বর নয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্যই যাবেন। এদিন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের নিয়মিত হাজিরা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন স্পিকার।