সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ বা বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ উঠলে সেই মামলার শুনানিতে কোনওরকম ঢিলেমি নয়। প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে হাই কোর্টগুলিকে। দাগি জনপ্রতিনিধিদের আজীবন নির্বাচন লড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবিতে দায়ের হওয়া মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
শীর্ষ আদালত বলছে, বিধায়ক-সাংসদদের কার্যকলাপে নজরদারির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করবে প্রতিটি হাই কোর্ট। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগের দ্রুত শুনানির জন্য নজরদারির উদ্দেশে প্রতিটি হাই কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হবে। এই উদ্দেশে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করতে হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন হাই কোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতি বা তাঁর মনোনীত কোনও বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: মামাকে ‘খুন’ করেছে অধিকারী পরিবার! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর ভাইয়ের]
সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিরল এবং বাধ্যতামূলক কারণ ছাড়া সাংসদ, বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার শুনানি স্থগিত করা যাবে না। এ জন্য নিম্ন আদালতগুলিতে পরিকাঠামোরও উন্নতি করতে হবে। সেটাও হাই কোর্টগুলিকেই করতে বলা হয়েছে। তবে ফৌজদারি মামলায় দু বছর বা তাঁর বেশি সময় জেলে থাকা নেতাদের আজীবন নির্বাচন লড়া থেকে নির্বাসন নিয়ে সার্বিকভাবে কোনও নির্দেশিকা এদিন জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত মনে করছে, এ বিষয়ে অভিন্ন নির্দেশিকা জারি করার বিষয়টি যথেষ্ট কঠিন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ থেকে ‘দেহ পাচার’! বেআইনি কঙ্কাল কারবারের যোগ?]
উল্লেখ্য, গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত নেতাদের আজীবন ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হিসাবে বলছে দেশের হাই কোর্টগুলিতে সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ হাজার ১৭৫টি মামলা ঝুলে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই গত পাঁচ বছরের। সুপ্রিম কোর্ট চাইছে, দ্রুত এই সব মামলার শুনানি হবে।