shono
Advertisement

১১ জন আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত ১৩ পুলিশকর্মীকে রেহাই আদালতের

তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বন্দুক দেখিয়ে ওই মহিলাদের ধর্ষণের
Posted: 08:41 PM Apr 07, 2023Updated: 08:41 PM Apr 07, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৭ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের ১১ জন আদিবাসী (Tribal) মহিলাকে গণধর্ষণের (Gang-rape) অভিযোগ ওঠে নকশাল-বিরোধী বিশেষ পুলিশবাহিনীর ১৩ জনের বিরুদ্ধে। অবশেষে এক বিশেষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের মুক্তি দিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বন্দুক দেখিয়ে ওই মহিলাদের ধর্ষণ করার।

Advertisement

২০০৭ সালের ২০ আগস্ট। ৩০ সদস্যের এক বিশেষ শাখার পুলিশ বাহিনী যৌথ অপারেশন চালাচ্ছিল অবিভক্ত বিশাখাপত্তনমের মাওবাদী অধ্যুষিত আদিবাসী-প্রধান এক এলাকায়। অভিযোগ ছিল, সেই সময়ই এক বিপণ্ণ জনজাতি গোষ্ঠী PVTG-র ১১ জন মহিলাকে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করে ১৩ জন পুলিশকর্মী। নির্যাতিতাদের অভিযোগ, যেহেতু সেই সময় গ্রামের পুরুষরা সকলেই কাজের জন্য মাঠে ছিলেন, সেই সুযোগে মহিলাদের বাইরে বের করে এনে প্রকাশ্যেই ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত শুরু হয়।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই পার্কিং ফি বৃদ্ধি! ফিরহাদকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ, জানালেন কুণাল]

আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা দাবি করেন, মাওবাদীদের চাপে পড়েই ওই মহিলারা এই ধরনের ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন। উপজাতি ও তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংগঠনের সমর্থন পেয়ে নির্যাতিতারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, এর আগে যে মেডিক্যাল টেস্টের প্রমাণ পেশ করা হয়েছে তাতে ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি। এরপর অভিযুক্তরা মামলাটি খারিজ করার আবেদন জানালেও মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের বিশেষ আদালতে মামলাটি বিচারের জন্য। অবশেষে বিশেষ আদালতে মুক্তি দেওয়া হল অভিযুক্তদের। মামলার তদন্তকারী অফিসারকে তাঁর ‘নিকৃষ্ট’ তদন্তের জন্য ভর্ৎসনা করে আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার। পাশাপাশি অভিযুক্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

[আরও পড়ুন: রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে নির্দেশ! রাজভবনের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement