রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বছর ঘুরলেই ২২ জানুয়ারি, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে শনিবারই অযোধ্যায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে সারা দেশেই ধর্মীয় ভাবাবেগ তৈরি করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর রামমন্দির উদ্বোধনের আগে বাংলাতেও ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। রাম মন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে প্রচার চালাবে বিজেপি কর্মীরা।
রাম মন্দিরকে সামনে রেখে বঙ্গ বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ‘‘কেউ শীতে অযোধ্যা বেড়াতে যেতে পারে। বিজেপির কোনও কর্মসূচি নেই। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ নেই। ওদের ঘুম পেয়েছে বাড়ি যা।’’ তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘আর বিজেপি নেতারা ঘরে ঘরে গেলেই তো মানুষ বলবে বাংলার বকেয়া টাকা দাও। আবার শুভেন্দুর সমর্থকরা যদি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যায়, তাহলে তো বের করে দেবে।’’
[আরও পড়ুন: আজ অযোধ্যা বিমানবন্দর, রেল স্টেশনের উদ্বোধন, মেগা শো দিয়েই ভোট প্রচার শুরু মোদির]
বৈঠকে ঠিক হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা অযোধ্যায় (Ayodhya) রামলালা দর্শন সেরেই চব্বিশের নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপাবেন। গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অযোধ্যাগামী বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল। আর সেই ট্রেনে চেপেই বিজেপি নেতা-কর্মী, এমনকি বুথস্তরের কর্মীরাও যাবেন রামলালা দর্শনে। আর আগামী ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি ঘর ঘর কর্মসূচিতে চলবে ‘নিমন্ত্রণ অভিযান’। বিজেপি কর্মীদের শহর এবং গ্রামে গিয়ে বাড়ি বাড়ি অযোধ্যায় যাওয়ার নিমন্ত্রণ পৌঁছে দিতে হবে। সেই নিমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে অযোধ্যা থেকে আসা হলুদ চাল ‘অক্ষত’-ও বিলি করতে হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে দূর্বল হওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে বাংলাতেও ধর্মীয় ভাবাবেগে শান দিতে চাইছে বিজেপি। রামমন্দিরের বিষয়টিকে ভোট প্রচারে কাজে লাগিয়ে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতে চাইছে পদ্ম শিবির। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।
কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘আমরা রামকে হৃদয়ে পুজো করি। কিন্তু তাঁকে ইলেকশন এজেন্ট বানিয়ে রোটি-কাপড়া-মকানের রাজনীতির বাইরে ধর্মের রাজনীতিতে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি।’’ বিজেপির রাম মন্দির প্রচারকে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি রাম জন্মভূমি নিয়ে বলতে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। আর পশ্চিমবঙ্গের লাখো লাখো মানুষের জন্মের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে। নাগরিকদের অধিকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে বিজেপি।’’