সুব্রত বিশ্বাস : দক্ষিণ ভারতের পাঁচ তীর্থভূমি ভ্রমণের ব্যবস্থা করল আইআরসিটিসি (IRCTC)। আগামী ১৫ মার্চ স্বদেশ দর্শন (Swadesh Darshan) নামে এই পর্যটনের শুরু হবে কাটিহার থেকে। ট্রেনটি কলকাতা থেকেও পর্যটকদের তুলে রওনা দেবে দক্ষিণ ভারতের একাধিক তীর্থভূমির দিকে। দশ রাত এগারো দিনের এই ভ্রমণের তিরুপতি, মাদুরাই, রামেশ্বর, কন্যাকুমারী, মল্লিকার্জুনের মতো তীর্থক্ষেত্র থাকছে।
আইআরসিটিসি পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার জাফর আজম বুধবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এসি টু ও এসি থ্রি ও স্লিপারে ভ্রমণের সুযোগ থাকছে। সকালে প্রাতঃরাশ, দুপুরে ও রাতে নিরামিশ খাবারের ব্যবস্থা, বাসে তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে। ভ্রমণের স্লিপার, এসি থ্রি ও এসি টুতে জন প্রতি খরচ পড়বে যথাক্রমে ২০,৯০০, ৩৪,৫০০ ও ৪৩,০০০ টাকা।
[আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময়ে বের করতে হবে না মোবাইল-ল্যাপটপ, আসছে নয়া প্রযুক্তি]
দু’কোটি টাকা খরচ করে দু’টি ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন আনছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজ়মকর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। এর জন্য ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Eastern Rail) এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে (North Eastern) এক কোটি টাকা করে মোট দু’কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি হিসাবে মিটিয়ে দিতে হয়েছে তাদের। আইআরসিটিসি-র পক্ষ থেকে আন্দামান, ডুয়ার্স ছাড়াও সিকিম এবং উত্তর-পূর্বের মেঘালয়কে কেন্দ্র করে পর্যটনের একাধিক প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা জাফর আজম বলেন, ”একাধিক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে পর্যটকেরা যাতে কিস্তিতে বেড়ানোর টাকা মেটাতে পারেন, সেই সুবিধাও আমরা শীঘ্রই চালু করব।”
[আরও পড়ুন: স্বদেশের টান! বিদেশের ডাক্তারি ডিগ্রি ছেড়ে মহারাষ্ট্রের পঞ্চায়েত প্রধান একুশের তরুণী]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ‘রেল কোচ রেস্টুরেন্ট কাম ফুড অ্যান্ড স্টল’ তৈরি করার কথা কথা জানিয়েছে রেল। হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সের সামনে গঙ্গার ধারে এই প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে আধুনিক মানের রেস্টুরেন্ট। আস্ত পুরনো কোচের ভিতরই তৈরি হবে এই রেস্তরাঁ। লিলুয়া ওয়ার্কশপ থেকে আনা হচ্ছে পুরনো এই কোচ। বাইরের অবয়ব অপরিবর্তিত রেখে অভ্যন্তরীণ সব কিছুই বদলে ফেলা হবে। চেয়ার, টেবিলে আনা হবে আধুনিকতা। তবে রেলের সব রকমের আস্বাদ পাওয়া যাবে তার চালচিত্রে।