দেব গোস্বামী, বোলপুর: প্লাবন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বিপত্তি। লাভপুরে স্পিডবোট থেকে পড়ে গেলেন দুই সাংসদ, বিধায়ক, জেলাশাসক-সহ মোট ১২ জন আধিকারিক। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
লাভপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যান বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, জেলাশাসক বিধান রায়-সহ ১৩ জন। লাভপুরের বলরামপুর, জয়চন্দ্রপুর, শীতলগ্রাম ও রামঘাঁটি এলাকা পরিদর্শনে যান তাঁরা। এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর স্পিডবোটে করে পরিদর্শনে বেরন। বলরামপুর গ্রামের কাছেই হঠাৎই আচমকা উলটে যায় স্পিডবোট। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রাণ বাঁচে তাঁদের।
উল্লেখ্য, দিনকয়েকের লাগাতার বৃষ্টিতে একাধিক নদীতে বেড়েছে জলস্তর। তার উপর ডিভিসির ছাড়া জলে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। তার মধ্যে ছিল বীরভূম। জেলার একাধিক সেতু জলের তলায়। মাঠের ফসলও জলমগ্ন। কঙ্কালীতলা মন্দিরও জলমগ্ন হয়ে যায়। তার ফলে মন্দিরে ভক্ত আনাগোনা বন্ধ হয়ে যায়। তারাপীঠ মহাশ্মশানের একাংশও চলে যায় জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতেই স্পিডবোট ডুবে বিপত্তি। এদিকে, আবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে তিনি প্রথমে যান পুরশুড়ায়। সেখানে দাঁড়িয়ে 'ম্যানমেড বন্যা' বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। এর পর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি।