সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক মহড়া ও রণসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করা হচ্ছিল, এমনটাই জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। কয়েকদিন আগেই, পাক সীমান্ত লাগোয়া বারমের থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সতরাম মহেশ্বরী ও বিনোদ মহেশ্বরী নামের দুই সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচরকে। তাদের জেরা করেই এই চাঞ্চল্যকর খবরটি জানতে পেরেছে পুলিশ।
(সীমান্তে উচ্চতম তেরঙ্গা ওড়াল ভারত, ‘চরবৃত্তি’ মনে করছে পাকিস্তান)
রাজস্থান পুলিশের ডিআইজি, আর সুহাস জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসে সতরাম। দু’বছর পর সে বিনোদকেও তার কাছে নিয়ে আসে। তিনি আরও জানান, নিয়মিত পাকিস্তানে যাওয়া আসা ছিল ওই ধৃতদের। এমনই এক সফরের সময় সতরামকে গুপ্তচর বৃত্তিতে নিয়োগ করে এক আইএসআই মেজর। জানা গিয়েছে, মেজর রশিদ ধৃতদের পোখরানে চলা ভারতীয় সেনার সামরিক মহড়ার খবর পাচার করতে বলে। এছাড়াও ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক, বিমান ও সেনাঘাঁটির গুপ্ত অবস্থান সম্পর্কিত তথ্যও জানতে চায় পাক গুপ্তচর সংস্থাটি। সাংকেতিক শব্দের মাধ্যমে এই নির্দেশগুলি দেওয়া হত। স্থলসেনাকে ‘স্পাইডার’ ও বায়ুসেনাকে ‘বার্ড’ বলা হত ওই সাংকেতিক কথাবার্তায়।
(একসঙ্গে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার, আতঙ্ক বাড়ল ট্রাম্পের মুলুকে)
পুলিশ সুত্রে খবর, প্রায় ছয় বছর থেকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছিল ওই ধৃতরা। হওয়ালার মাধ্যমে তাদেরকে টাকা দিত পাকিস্তান বলেও জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে আইএসআই কর্তারা নির্দেশ দিত সতরাম ও বিনোদকে। দেশে ছড়িয়ে পরা আইএসআই-র স্লিপার সেল ও চরদের খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যে, রাজস্থান, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজন পাক চর।