shono
Advertisement

লকডাউনের আতঙ্ক, কলকাতার বাজারে হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর

কোন কোন পণ্যের বাড়ল দাম?
Posted: 05:31 PM Apr 21, 2021Updated: 06:29 PM Apr 21, 2021

অভিরূপ দাস: “আর তো কয়েকটা দিন। তার পরেই লকডাউন।” ক্রেতাদের এমনই ভয় দেখাচ্ছেন দোকান মালিকরা। উত্তরের মানিকতলা থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট। সবজি বিক্রেতা থেকে মুদির দোকান মালিকদের তৈরি করা আতঙ্কে দিশেহারা ক্রেতারা।
দিল্লিতে লকডাউন জারি হয়েছে। মুম্বইতে মাত্র চার ঘণ্টা খোলা থাকছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান। এই রাজ্যেও কি তেমনটা হতে চলেছে? বাংলার আমজনতার মনে এখন একটাই প্রশ্ন।

Advertisement

বিগত দশদিন ধরেই বাংলায় করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে সাত হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এখনও সরকারি স্তরে লকডাউন নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি। যদিও ইতিমধ্যেই রটে গিয়েছে, আর মাত্র কয়েকটা দিন। ২ মে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই ফের লকডাউন হয়ে যাবে রাজ্যে। সেই আতঙ্ককে পুঁজি করে মুনাফা খুঁজছেন ব্যবসায়ীরাও। মধ্য কলকাতার ঠনঠনিয়ার বাসিন্দা নৃপেন গুহঠাকুরতার কথায়, “অনেক দোকানী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করতে শুরু করেছে। ডিম-আলুর মতো জিনিস চাইলেও বেশি করে দিচ্ছে না।” কারণ? নৃপেনবাবুর কথায়, “যে ডিমের দাম এখন সাড়ে ৫ টাকা পিস। লকডাউনের সময় তা বিক্রি হয়েছে ৭-৮ টাকা করে। এই মুনাফার জন্যেই মাল মজুত করছে দোকানিরা।” রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, কোনও দোকানি আলু বা ডিম মজুত করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন : ‘ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ কোটির তহবিল’, করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা মমতার]

গত বছর লকডাউনের সময় মানিকতলা, গড়িয়াহাট, বেহালার বাজারে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের টানে বাজারগুলিতে অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগও উঠেছিল। সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার বাজারগুলিতে হানা দেওয়া হয়। সাধারণত কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এহেন বাজারে অতর্কিতে হানা দেন। কিন্তু কলকাতা পুরসভার নির্বাচন না হওয়ায় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তথা বিদায়ী মেয়র পারিষদ (বাজার) আমিরুদ্দিন ববি জানিয়েছেন, “কালোবাজারির কথা এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সে দায়িত্ব আমার নেই। কলকাতা পুরসভার কমিশনার এ বিষয়ে বলতে পারবেন।”

শুধু শহর নয়, জেলাতেও একাধিক বাজারে কালোবাজারির অভিযোগ আসছে। সোমবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল ক্যানিং বাজারে। আগামী কয়েক দিন কিছু পাওয়া নাও যেতে পারে-এই আশঙ্কায় চাল, ডাল, আনাজ, ডিম কেনার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কে আগে মালপত্র কিনবেন তা নিয়ে বচসা, হাতাহাতিও বেধে যায় কয়েকটি দোকানে। একই ছবি দেখা যায় ডায়মন্ডহারবার, লক্ষ্মীকান্তপুরের বাজারেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুর্গাপুরের বাসিন্দা সৈকত মণ্ডল জানিয়েছেন, “গত বছর টানা লকডাউন ছিল। সেই আতঙ্ক এখনও কাটেনি। ২ মে-র পর লকডাউন হয়ে যাবে এমন একটা গুজব রটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত খাবার বাড়িতে মজুত রাখতেই সকালে তড়িঘড়ি বাজারে এসেছি।” যে আলু অনেক বাজারেই ১৫ টাকা প্রতি কেজি। আচমকাই লকডাউনের ধুয়ো তুলে তা ২০/২৪ টাকাতে বিক্রি করতে শুরু করেছেন মুদির দোকানের বিক্রেতারা।

[আরও পড়ুন : ফের শ্বাসকষ্ট মদন মিত্রের, ভরতি হাসপাতালে, হবে কোভিড পরীক্ষাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement