বাংলাদেশ: ২৭১-৭ (মেহেদি ১০০, মহম্মদউল্লাহ ৭৭)
ভারত: ২৬৬-৯ (শ্রেয়স ৭৭, অক্ষর ৫৬)
বাংলাদেশ ৫ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার বাংলাদেশের মাটিতে ভারত ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল ২০১৫ সালে। কোনও এক মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman) এবং তাস্কিন আহমেদের দাপটে সেবারে একরাশ লজ্জা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে (Team India)। ৭ বছর বাদে মীরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ফিরল সেই সিরিজ হারের লজ্জা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রোহিত শর্মার ভারত হারল ৫ রানে।
প্রথম ম্যাচের লজ্জার হারের পর এদিন ফের টস হারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। টসে জিতে প্রথম ব্যাট করে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৭ উইকেটে ২৭১ রান। আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান ৮৩ বলে ১০০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। একটা সময় বাংলাদেশ মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ভালমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরই শেষের দিকের ব্যাটারদের বিরুদ্ধে দুর্বলতা ভোগাতে শুরু করে ভারতকে। আগের ম্যাচের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ (Mehedi Hasan Miraj) এদিন ফের বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে উঠে আসেন। তাঁর সঙ্গী হন মহম্মদউল্লাহ। সপ্তম উইকেটের জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ১৪৮ রান। মহম্মদউল্লাহ করেন ৭৭। আর মেহেদি আউট হন ১০০ রানে। এই জুটিতে ভর করে কঠিন পিচে বাংলাদেশ ২৭১ রানের সম্মানজনক ইনিংস গড়ে।
[আরও পড়ুন: স্পেনের ক্লাবে খেলে এনরিকের দলের দৌড় থামিয়েছেন, মরক্কোর গোলকিপার খেলে গিয়েছেন এই ভারতেও]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের ইনিংসের শুরুটা ফের জঘন্য হয়। এদিন ফিল্ডিং করার সময় আঙুলে চোট পান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে ভারতের ইনিংসে শুরুতে ব্যাট করতে নামেননি তিনি। তাঁর অনুপস্থিতিতে শিখর ধাওয়ান এবং কোহলি (Virat Kohli) ওপেন করতে নামেন। কিন্তু দু’জনেই ব্যর্থ হন। তিন নম্বরে নামা শ্রেয়স আইয়ার ছাড়া টপ অর্ডারের আর কোনও ব্যাটার দাঁড়াতেই পারেননি। শেষে শ্রেয়স অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে জুটি বেঁধে লড়াই শুরু করেন। তাঁদের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু শ্রেয়স ৮২ রানে এবং অক্ষর ৫৬ রানে আউট হতেই ফের চাপে পড়ে যায় ভারত।
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডো নাটকে এবার শামিল প্রেমিকা জর্জিনাও, কোচের সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ বলে কটাক্ষ]
রোহিতকে এদিন নামানো হবে না, সেটা মোটামুটি ঠিকই করে ফেলেছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শেষপর্যন্ত হারের পরিস্থিতি তৈরি হতেই অধিনায়ক চোট নিয়েই মাঠে নেমে যান। রোহিত যখন মাঠে নামলেন তখন ভারতের স্কোর ৪৫ ওভারে ২১৩ রানে ৮ উইকেট। সেখান থেকে চোটগ্রস্ত ভারত অধিনায়ক মাত্র ২৮ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন। মহানায়কোচিত ইনিংসে ৫টি ছক্কা এবং চারটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। শেষ দু’ওভারে ভারতকে তুলতে হত ৪০ রান। রোহিত কার্যত একার হাতে তুললেন ৩৪। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না ভারতের।