সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পরে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন। গত বছর এমনটাই ছিল শ্রেয়স আইয়ারের জীবন। গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীনই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তারকা ব্যাটার। তবে কান্নার জন্য অন্য কাউকে নয়, নিজেকেই দায়ী করেছেন শ্রেয়স।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন মুম্বইয়ের ব্যাটার। ভারতীয় দল যখনই সমস্যায় পড়েছে, তখন ভরসা জুগিয়েছেন শ্রেয়স। অথচ প্রত্যাবর্তনের কাজটা সহজ ছিল না। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পর তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। ২০২৪-র চুক্তি নবীকরণের সময়ে বাদ পড়েছিলেন ঈশান কিষান ও শ্রেয়স আইয়ার। বোর্ডের নির্দেশকে উপেক্ষা করে ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় কিষান ও আইয়ারের উপরে সন্তুষ্ট ছিল না বিসিসিআই।
তারপর শ্রেয়স আইপিএল খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে ভালো পারফর্ম করেছেন। মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জিতেছেন। ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনেও আগুনে ফর্ম বজায় রেখেছেন। শুধু জাতীয় দলের হয়ে নয়, আইপিএলেও ভাগ্য ফিরেছে শ্রেয়সের। নাইট রাইডার্স তাঁকে দলে না রাখলেও ২৬.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। এমনকী তাঁকে অধিনায়কও করেছে প্রীতি জিন্টার দল। পাঞ্জাবের জার্সিতেও দারুণ ফর্মে রয়েছেন শ্রেয়স।
আইপিএলের মধ্যেই 'ক্যান্ডিড উইথ কিংস' অনুষ্ঠানে শ্রেয়সকে প্রশ্ন করা হয়, শেষ কবে কেঁদেছিলেন? পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক বলেন, "কয়েকদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্র্যাক্টিস সেশনেই কেঁদে ফেলেছিলাম। নেটে ব্যাট করতে নামি, কিন্তু কিছুতেই ঠিক মতো ব্যাট করতে পারছিলাম না। নিজের উপরে এত রাগ হচ্ছিল যে কেঁদে ফেলি। তবে খুব অবাক হয়েছিলাম। আমি সাধারণত খুব একটা কাঁদি না। আসলে ভারত থেকে দুবাইয়ে গিয়ে একেবারে অন্যরকম পিচ। প্রথমদিন ওখানে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল।" তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শ্রেয়স।