সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ধোনিকে উপযুক্ত সম্মান দেয়নি বিসিসিআই। ওঁর মতো বড় ক্রিকেটারের কেরিয়ার এভাবে শেষ হওয়াটা উচিত হল না।’ না, বক্তা কোনও ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থক বা মহেন্দ্র সিং ধোনির অন্ধ ভক্ত নন।’ ধোনির অবসর নিয়ে একথা বলছেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি সাকলিন মুস্তাক (Saqlain Mushtaq)।
স্বাধীনতা দিবসেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (MS Dhoni)। নীল রংয়ের জার্সি গায়ে আর দেখা যাবে না ক্যাপ্টেন কুলকে। সেটা অবশ্য গত প্রায় বছর দেড়েকই দেখা যায়নি। আসলে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর আর দেশের জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যায়নি মাহিকে। তাই তাঁর অগণিত ভক্ত, তথা বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর মধ্যে শেষ হয়েও শেষ না হওয়ার একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছে। আসলে অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর যা অবদান, সে তুলনায় ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্নে এসে সম্মান পাননি মাহি। গত বছর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শেষবার নীল জার্সি গায়ে নেমেছিলেন। তারপর থেকে একপ্রকার স্বেচ্ছাবসরেই ছিলেন। কখনও সীমান্তে সেনা প্রশিক্ষণে ব্যস্ত থেকেছেন তো কখনও তাঁকে শুধুই বাবার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট মাঠে আর দেখা যায়নি। কেরিয়ারের শেষ দেড় বছর তাঁকে নীল জার্সি গায়ে দেখতে না পাওয়ার আক্ষেপটা যেমন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের আছে, তেমনি রয়ে গিয়েছে সাকলিন মুস্তাকের মনেও।
[আরও পড়ুন: ফের মাঠে নামবেন দ্রাবিড়-শেহওয়াগ-ধোনিরা? অভিনব এক ম্যাচের প্রস্তাব ইরফান পাঠানের]
প্রাক্তন পাক স্পিনার এক ইউটিউব ভিডিওতে বলছিলেন,”আমি কারও নামে খারাপ কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এখানে না বলে পারছি না। বিসিসিআই ধোনির মতো বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে একেবারেই ভাল আচরণ করেনি। একদম মন থেকে বলছি, ধোনির অবসরটা এভাবে হওয়াটা ঠিক নয়। এটা বিসিসিআইয়ের পরাজয়। আমার ধোনির জন্য খুব খারাপ লাগছে।” মুস্তাকের কথায়, প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই অবসর নিয়ে কিছু স্বপ্ন থাকে। সবাই চায়, যেভাবে এসেছে, সেভাবেই বিদায় নিতে। প্রাক্তন পাক স্পিনার বলছেন,”আমি খুশি যে ধোনি আইপিএলে খেলবে। কিন্তু ওঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অবসরটা এভাবে হওয়া ঠিক হল না। প্রত্যেক ক্রিকেটার স্বপ্ন দেখে, ভালভাবে বিদায় নেওয়ার। আমার বিশ্বাস ধোনিও দেখেছিল।”
The post ধোনিকে উপযুক্ত সম্মান দেয়নি বিসিসিআই, ভারতীয় বোর্ডকে কটাক্ষ প্রাক্তন পাক তারকার appeared first on Sangbad Pratidin.