ইস্টবেঙ্গল: ১ (ক্রোমা)
বেঙ্গালুরু এফসি: ৪ (রাহুল, সুনীল-পেনাল্টি-সহ ২, মিকু)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাইনালে যখন বেঙ্গালুরু এফসির মতো শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হতে হয়, তখন তাদের বিরুদ্ধে একটা ভুল মানেই সব শেষ। আর এদিন ইস্টবেঙ্গলের একগুচ্ছ ভুলেই বাজিমাত করলেন সুনীল ছেত্রীরা। আর সেই সঙ্গে প্রথমবার সুপার কাপ জয়ের আশা অধরাই রয়ে গেল খালিদ জামিলের দলের।
যতদিন যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিচ্ছে বেঙ্গালুরু। প্রত্যেকটি ম্যাচে চূড়ান্ত পেশাদারিত্বের দৃষ্টান্ত রাখছে এই দল। আই লিগ থেকে সরে গিয়ে প্রথমবার আইএসএল-এ যোগ দিয়েই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল দলটি। যদিও ফাইনালে চেন্নাইয়িনের কাছে হারের ক্ষতটা দগদগেই ছিল। শুক্রবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে সেই ক্ষততেই মলম লাগল। সুপার কাপের প্রথম মরশুমেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল সুনীল অ্যান্ড কোং।
[আরও একটি পালক জুড়ল কোহলি ও দীপিকার সাফল্যের মুকুটে]
ফাইনালের শুরুটা ছিল অনেকটা মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু সেমিফাইনালের রিপ্লে। যেখানে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে প্রথমেই এগিয়ে দিয়েছিলেন ডিকা। এদিনও শুরুতে পিছিয়ে পড়লেন সুনীলরা। সৌজন্যে ক্রোমার বিশ্বমানের বাইসাইকেল কিক। কিন্তু সেই গোলের পরই যে বেঙ্গালুরু এমন হিংস্র হয়ে উঠবে, তা অনেকেই ভাবেননি। যে অসুস্থ রাহুল ভেকে ফাইনালে একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলেন, তাঁরই দুর্দান্ত হেডারে দলে স্বস্তি ফিরল। তাঁকে মার্কই করতে পারলেন না লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। এরপরই লড়াইয়ে তিক্ততা বাড়ে। আসলে এ তো শুধুই বেঙ্গালুরুকে হারানোর লড়াই ছিল না। ইস্টবেঙ্গলের কাছে এ লড়াই সম্মানের। এ লড়াই নিজেদেরকে সেরা প্রমাণ করার। এ লড়াই আই লিগ হাতছাড়া হওয়ার গ্লানি মেটানোর। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেই যে বেশি করে মাথা ঠান্ডা রাখার প্রয়োজন ছিল, সেটাই হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন সামাদ। প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে মুখে কার্যত ঘুসি মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন তিনি। ক্রোমা, কাটসুমিদের মেজাজ তখন সপ্তমে। আর তাতেই একের পর এক ভুল হল। বক্সের ভিতর হ্যান্ডবল করে গুরবিন্দর পেনাল্টি উপহার দিয়ে দিলেন বেঙ্গালুরুকে। গোল করতে ভুল করেননি সুনীল। বাগান ম্যাচের মতোই এদিন ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতলেন সেই অধিনায়ক সুনীল। চারজনকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে বল নিয়ে উঠে এসে গোল করলেন, তা অনেকদিন মনে থেকে যাবে ফুটবলপ্রেমীদের। মিকু, সুনীলদের কাছে সে সময় খালিদের ছেলেদের রীতিমতো অসহায় মনে হচ্ছিল।
[‘আমাকে নিয়ে আইপিএল বাঁচিয়ে দিল শেহবাগ’, বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করে বিস্ফোরক গেইল]
৪-১-৪ ছকে খেলিয়ে একদিকে যখন বাজিমাত করলেন বেঙ্গালুরু কোচ রোকা, তখন ইস্টবেঙ্গলে খালিদ জামিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল। সুভাষ ভৌমিককে এনেও ট্রফি আনতে ব্যর্থ ক্লাব। আর তাই আই লিগের পর আরও একবার হতাশায় ডুবলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা।
The post ইস্টবেঙ্গলকে দুরমুশ করে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন সুনীল ছেত্রীরা appeared first on Sangbad Pratidin.