স্টাফ রিপোর্টার: দুই প্রধানকে এবার কলকাতা লিগে খেলতে দেখা যাবে না। রবিবার ছিল এটিকে মোহনবাগানের (Atk Mohun Bagan) খেলা। প্রতিপক্ষ জর্জ টেলিগ্রাফ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে জর্জের ফুটবলার-সহ কোচ, কর্তারা উপস্থিত থাকলেও সবুজ-মেরুন বাহিনিকে দেখা যায়নি। যথারীতি জর্জের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য হতাশার সুরে বলেন, “ঘরোয়া লিগে ছোট দলের ফুটবলাররা প্রস্তুতি নেয় এমন একটা বড় ম্যাচে খেলবে বলে। এই দিনটার দিকে সকলে তাকিয়ে থাকে। সেখানে ছেলেরা খেলতে না পারায় সত্যিই খারাপ লাগছে। আসলে এটিকে মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal), মহামেডানের মতো দলগুলো হচ্ছে সমর্থক পরিবেষ্টিত ক্লাব। ফলে এদের বিপক্ষে খেললে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয় ফুটবলাররা। সেটাই এবার হল না।”
না খেলার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এটিকে মোহনবাগানের। এমনিতেই দল পৌঁছে গিয়েছে এএফসি কাপের মূলপর্বে। তার উপর জাতীয় দলের হয়ে নেপালে খেলতে চলে গিয়েছেন পাঁচজন ফুটবলার। তাই ক্লাব সচিব তথা এটিকে মোহনবাগান ডিরেক্টর বোর্ডের অন্যতম সদস্য সৃঞ্জয় বোস বলছিলেন, “আগেই বলেছিলাম, আবার শনিবার মেল করে আমরা জানিয়েছিলাম, আমাদের পক্ষে ঘরোয়া লিগে খেলা এবার সম্ভব নয়। এটাতো দেশের সম্মানের প্রশ্ন। তাই আমরা আইএফএ-র সহযোগিতা চেয়েছি। তাছাড়া এবার কোভিড পরিস্থিতির দরুন সেভাবে প্র্যাকটিসও হয়নি। তাহলে আমরা কীভাবে খেলব?”
[আরও পড়ুন: Lionel Messi: পিএসজি-র হয়ে অভিষেক মেসির, কেমন খেললেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা?]
কিন্তু আইএফএ কর্তারা দাবি করছেন, এটিকে মোহনবাগান তাঁদের কাছে না খেলার জন্য কোনও কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। তাই রেফারি, অ্যাম্বুলেন্স অর্থাৎ একটা ম্যাচ করার জন্য যা যা দরকার পড়ে তার সবকিছু ব্যবস্থা ছিল। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে। প্রত্যুত্তরে সৃঞ্জয় বলেন, “কেন এসব বলা হচ্ছে জানিনা, আমরা এএফসি খেলতে যাওয়ার আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে ছিলাম, আমাদের পক্ষে এবার ঘরোয়া লিগে খেলা সম্ভব নাও হতে পারে। তারপর আমরা শনিবার আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের কাছে খেলা সম্ভব নয় বলে মেল পাঠাই। তাহলে আমরা কোথায় সহযোগিতা করলাম না?”
প্রশ্ন হল, এবার এসসি ইস্টবেঙ্গল কী করবে? তারাও কী সরে দাঁড়াবে? শোনা যাচ্ছে, লাল-হলুদের পক্ষ থেকে একটা মেল আইএফএ-তে করা হয়েছে। সেখানে নাকি জানানো হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁদের পক্ষে মাঠে নামা অসম্ভব। তারপর খেলতে তাঁদের আপত্তি নেই। তবে ঘরোয়া লিগ খেলা চলাকালীন আইএসএল-এর খেলা হয়তো পড়ে যাবে। সুতরাং তাঁদের ইচ্ছে থাকলেও ঘরোয়া লিগে প্রায় অসম্ভব। তাই এই মেল পাওয়ার পর রাজ্য ফুটবল সংস্থার কর্তারা নাকি ধরে নিয়েছেন, ঘরোয়া লিগে ইস্টবেঙ্গলের খেলা আর সম্ভব নয়। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ছিল মঙ্গলবার। প্রতিপক্ষ ছিল ভবানীপুর। তাই কল্যাণীতে কাল খেলা হচ্ছে না।