সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে 2G কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন সিবিআইয়ের। অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করার রায়ের বিরুদ্ধে যে আবেদন দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) জমা পড়েছে, সেই আবেদনের নিয়মিত শুনানির দাবি জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলার সঙ্গে গোটা দেশের স্বার্থ জড়িয়ে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে। আন্তর্জাতিক মহলেরও নজর রয়েছে এই মামলায়। সুতরাং, এই মামলার দ্রুত শুনানি হওয়া জরুরি।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কেলেঙ্কারি মামলার সব অভিযুক্তকেই নির্দোষ বলে রায় দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার এই কেলেঙ্কারি ইউপিএ আমলে দেশজুড়ে প্রবল শোরগোল ফেলে দেয়। দুর্নীতিতে নাম জড়ায় একের পর এক রাজনীতির রাঘব বোয়ালদের। তৎকালীন মনমোহন সিং সরকারের আমলে ঘটা এই দুর্নীতি নিয়ে ২০১১ সালে মামলা শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: স্বপ্নের উড়ান! মা-মেয়ে একসঙ্গে ওড়ালেন বিমান, তৈরি হল আশ্চর্য ইতিহাস]
এ রাজা ও কানিমোঝি-সহ একাধিক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করে সিবিআই (CBI)। কিন্তু দীর্ঘ তদন্তপ্রক্রিয়া শেষেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি ইডি বা সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার জেরে ২০১৭ সালে আদালত তিনটে মামলায় ১৬ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস করে আদালত। বিশেষ সিবিআই আদালত সাফ জানিয়ে দেয় 2G স্পেকট্রাম বণ্টনে কোনও দুর্নীতি হয়নি। যদিও সিবিআই সেই রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন মামলায় কোনও অগ্রগতি নেই। সেকারণেই ফের প্রতিদিন মামলার শুনানি চেয়ে আবেদন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: এবার পরিবহণের সমস্যা জানানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! দায়িত্ব নিয়েই পদক্ষেপ রাজ্যের মন্ত্রীর]
বিরোধী শিবির অবশ্য বলছে, শুধু ন্যাশনাল হেরাল্ড বা এসএসসি মামলা যথেষ্ট নয়। বিরোধীদের শায়েস্তা করতে তাই নতুন অস্ত্র চাইছে মোদি (Narendra Modi) সরকার। সেকারণেই টুজি মামলা খুঁচিয়ে তোলা। এই মামলার যে কোনও সারবত্তা নেই, সেটা অনেক আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।