সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে জলঘোলা অব্যাহত। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)। নেতৃত্ব ছাড়তে কোহলিকে বাধ্য করা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস। এখানেই থামেননি তিনি। বলে দেন, কোহলির জায়গায় থাকলে তিনি নাকি বিয়ে করতেন না!
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই কোহলি (Virat Kohli) জানিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের পর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু তারপর দেখা গেল সীমিত ওভারের একজন অধিনায়ককে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। যে কারণে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব হারালেন বিরাট। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে- দুই ফরম্যাটেই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হল রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma)। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই সবাইকে অবাক করে ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার ঘোষণা করেন কোহলি। পাঁচদিনের ক্রিকেট থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানোয় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে ক্রিকেট মহল। সেই বিতর্কেই এবার মুখ খুললেন শোয়েব আখতার।
[আরও পড়ুন: জল্পনায় সিলমোহর, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তিনটি টি-২০ ম্যাচ ইডেনে, ঘোষণা বোর্ডের]
লেজেন্ড লিগ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন প্রাক্তন পাক পেসার আখতার। তার মাঝেই সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আখতার বলে দেন, বিরাট নাকি অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “বিরাট নেতৃত্ব ছাড়েনি। ওকে বাধ্য করা হয়েছে। ওর সময়টা হয়তো ভাল যাচ্ছে না। তবে ও কী দিয়ে তৈরি, সেটা ওকেই প্রমাণ করতে হবে। স্টিল নাকি লোহা দিয়ে তৈরি ও?” এরপরই কোহলির প্রশংসা করে যোগ করেন, “এতকিছু মাথায় ঢোকালে চলবে না। ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে হবে ওকে। বিরাট দারুণ ব্যাটসম্যান। বিশ্বের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের থেকে বেশি রেকর্ড রয়েছে ওর ঝুলিতে। নিজের স্বাভাবিক খেলা খেললেই হবে।”
তবে ফর্মে থাকার সময় কোহলির বিয়ে করা নিয়েও নাক সিঁটকেছেন শোয়েব। বলছেন, “কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। শুধু খেলতাম আর রান করতাম। কারণ ক্রিকেটের এই ১০-১২টা বছর তো আর বারবার আসবে না। বলছি না বিয়ে করাটা উচিত নয়। কিন্তু ভারতের জার্সিতে যখন খেলছ, দায়িত্বটা অনেক বেড়ে যায়। তাছাড়া কোহলির জন্য সমর্থকরা পাগল। গত ২০ বছর ধরে তাদের থেকে যে ভালবাসা পাচ্ছে, সেটা ধরে রাখাটাও তো একটা দায়িত্ব।”
উল্লেখ্য, এর আগে কোহলির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক জোড়াল করেছিলেন আরেক প্রাক্তন তারকা রশিদ লতিফ। তিনি দাবি করেন, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) সঙ্গে সংঘাতের জেরেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর মতো বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কোহলিকে। এবার খানিকটা সেই সুরই শোনা গেল শোয়েবের মুখেও।