স্টাফ রিপোর্টার: ঋদ্ধিমান সাহা, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শ্রীবৎস গোস্বামীর (Shreevats Goswami) মধ্যে মিল কোথায়? এঁরা তিনজনই বাংলার জার্সিতে দাপিয়ে খেলেছেন একটা সময় পর্যন্ত। এবং শেষ পর্যন্ত তিনজনই বাংলা ছেড়ে গেলেন অভিমানে। সিএবির (CAB) সঙ্গে গণ্ডগোলের জেরে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা (Tripura) চলে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও একরাশ ক্ষোভ নিয়ে ত্রিপুরায় যোগ দিয়েছেন। এবার শ্রীবৎস গোস্বামীও একই পথে হাঁটলেন। আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট মরশুমে আর দেখা যাবে না বাংলা ক্রিকেটের ‘শ্রী’কে। তিনি খেলবেন মিজোরামের হয়ে।
আসলে এ বার বাংলার প্রাথমিক দলে রাখা হয়নি শ্রীবৎসকে। ২০০৮ সালে বিরাট কোহলি নেতৃত্বাধীন অনূর্ধ্ব উনিশ বিশ্বজয়ী ভারতীয় টিমের সদস্য ছিলেন যিনি। এক দশকের বেশি ধরে তার পর প্রায় নিয়মিত দেখা গিয়েছে শ্রীবৎসকে। কিন্তু গত দু’এক বছরে বাংলা টিমে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন শ্রীবৎস। গত বার রনজি টিমে তাঁকে রাখা হয়নি। ওয়ান ডে টিমেও ছিলেন না। আর সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটা ম্যাচে। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে। যার পরই এ বার তিনি বাংলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
[আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোট মামলার রায়দান, ভাগ্য নির্ধারিত হবে অনুব্রতরও]
এই মুহূর্তে শ্রীবৎস ইংল্যান্ডে। প্রিমিয়ার ডিভিশনের ম্যাচ নিয়মিত খেলছেন। সন্ধেয় ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, “এটা ঠিকই যে আমি বাংলা ছেড়ে মিজোরাম যাচ্ছি। সিএবির কাছে এনওসি চেয়েছিলাম। সিএবি সেটা আমাকে দিয়েও দিয়েছে। দেখুন, এবার চল্লিশ জনের প্রাথমিক দলে আমাকে রাখা হয়নি। দু’টো রাস্তা খোলা ছিল আমার সামনে। এক, অবসর নিয়ে ফেলা। দুই, খেলার চেষ্টা করা।” সঙ্গে বাংলার বাঁ হাতি ব্যাটারের সংযোজন, “আমি মনে করি, এখনও আমার মধ্যে ক্রিকেট বেঁচে রয়েছে। মিজোরাম তার পর আমাকে ওদের হয়ে খেলার প্রস্তাব দেয়। আমি সেটা নিয়েছি। বারো-চোদ্দো বছর আমি খেলেছি বাংলার হয়ে। আমি সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছি বাংলা ক্রিকেটে সাহায্য করার। কিন্তু বাংলা ক্রিকেট আমাকে আর ভাবেনি। তাই আমাকে অন্য ভাবনা ভাবতে হল।”
শ্রীবৎসকে জিজ্ঞাসা করা হল, সিএবি তাঁকে থাকতে বলেছিল কি না? নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছিল কি না? উত্তরে শ্রীবৎস বলেন, “না বলেনি। তাই আমি কিছুটা বিস্মিত, আবার বিস্মিত নইও। কারণ, সিএবি কখনওই আপনাকে সরাসরি বলবে না, আপনাকে নিয়ে ওদের ভাবনাটা কী? আপনাকে খেলানো হবে কী হবে না? কিন্তু হাবেভাবে বুঝিয়ে দেবে। আর এটুকু বোঝার মতো বুদ্ধি আমার আছে যে, আমাকে ওরা আর ভাবছে না। ভাবলে, সেটা বোঝা যেত। আর যখন আমাকে আমার রাজ্যই আর ভাবছে না, তা হলে নিজের কেরিয়ারকে নষ্ট করে কী লাভ?”