সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেমন মনে করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই ঘটল। কাকু ইনজামাম-উল-হক (Imzam-Ul-Haq) পাকিস্তানের (Pakistan) মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে দল থেকে ছাঁটাই হলেন ভাইপো ইমাম-উল-হক (Imam-Ul-Haq)। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) নেমেছে পাক দল। সেই দলের প্রথম একাদশ থেকে ইমামকে বাদ দিলেন অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam)।
Advertisement
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে চলতি বিশ্বকাপে (CWC 2023) ছ’টি খেলেছিলেন ইমাম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন ৭০ রান। এছাড়া তাঁর ব্যাটে বড় রান দেখা যায়নি। পাক ক্রিকেট পণ্ডিতদের মতে কাকু ইনজামাম স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে যাওয়ার জন্য নাকি এবার বাদের তালিকায় নাম লেখালেন বাঁহাতি ওপেনার ইমাম।
[আরও পড়ুন: নির্দোষ প্রমাণিত হলে আবার মুখ্য নির্বাচক পদে ফিরে আসবেন, হুমকি দিলেন পদত্যাগী ইনজামাম]
স্বার্থের সংঘাতের দায়ে ইনজামাম একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “আমি চাই পিসিবি-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি স্বচ্ছ তদন্ত করুক। আর তাই মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে দাঁড়ালাম। গত কয়েক দিন ধরে বেশ কয়েকটি প্রচারমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তুলেছে। আমিও চাই এই ঘটনার তদন্ত হোক। তবে শেষ পর্যন্ত আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলে আবার এই পদে ফিরে আসব।”
একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে ইয়াজো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এই কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার ছিলেন ইনজি। আবার এই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তালহা রেহমানি নামে এক ক্রিকেট এজেন্ট। পাক অধিনায়ক বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদির এজেন্ট এই তালহা রেহমানি। আর তাই মনে করা হচ্ছে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনে তালহা রেহমানির কিছু ভূমিকা থাকতেও পারে। তাঁর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন ইনজামাম।
ব্যাপারটা চাউর হওয়ার পর পিসিবি একটি পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়েছে। এই কমিটি পুরো ঘটনার তদন্ত করবে। তবে যাই হোক। বিশ্বকাপে দলের খারাপ পারফরম্যান্স, লাগতার চার ম্যাচে হারের পর এবার ইনজামামের পদত্যাগ করে দেওয়া। এর পর এবার পাক দলের প্রথম একাদশ থেকে বাদ গেলেন ইমাম।