সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলটা কী মহম্মদ শামির! একেবারেই চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লজ্জার নজির গড়েছেন পাঞ্জাব কিংসের বোলার। বিপক্ষ ব্যাটাররা তাঁকে এমন 'শাসন' করেছেন যে, সেই স্মৃতি তিনি দ্রুত ভুলে যেতে চাইবেন।

৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭৫ রান দেন শামি। আইপিএলের ইতিহাসে আর কোনও ভারতীয় বোলার এত রান খরচ করেননি। তাঁর চতুর্থ ওভারের শেষ চার বলে চারটি ছয় হাঁকান মার্কাস স্টয়নিস। আর তাতেই ওভার পিছু ১৮.৭৫ রান দেন। এরপরেই এক ওভারে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলার হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে শামির নাম। যদি শীর্ষে আছেন জোফ্রা আর্চার। চলতি আইপিএলে এই সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ইংরেজ পেসার চার ওভারে ৭৬ রান দিয়েছিলেন।
নেহাত শামির সতীর্থ অভিষেক শর্মা ৫৫ বলে ১৪১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ম্যাচও জেতে সানরাইজার্স। হয়তো যাবতীয় দায় এসে পড়ত বাংলার পেসারের কাঁধে। ঘটনা হচ্ছে, চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর কিছু ম্যাচে সেভাবে চেনা ফর্মে দেখা যায়নি শামিকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো ফর্ম দেখালেও, সেই পুরনো ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করছে অনেকে। গতি তো বটেই, সিম পজিশনও আগের মতো নেই। যা চিন্তায় রাখবে সানরাইজার্স শিবিরকে। শনিবারের ম্যাচে প্রথম তিন ওভারে দিয়েছিলেন ৪৮। কিন্তু শেষ ওভারে ২৭ রান দেন তারকা পেসার। সব মিলিয়ে ৬টি চার এবং ৭টি ছক্কা হজম করেন তিনি।
তালিকায় তাঁর আগে রাজস্থান রয়্যালসের জোফ্রা আর্চার। তালিকায় তৃতীয় স্থানে মোহিত শর্মা। গত আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দিয়েছিলেন ৭৩ রান। এরপর যথাক্রমে আছেন বাসিল থাম্পি ও যশ দয়াল। হায়দরাবাদের হয়ে থাম্পি ২০১৮ সালে আরসিবি ম্যাচে দিয়েছিলেন ৭০। অন্যদিকে আরসিবি'র জার্সিতে ২০২৩-এ যশ দয়াল কেকেআরের বিরুদ্ধে দেন ৬৯।