দুলাল দে: ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) ফুটবল ম্যাচের পর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭৪। সেদেশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হবে সেদেশের ফুটবল লিগ। সেই সঙ্গে যে ক্লাবের সমর্থকরা অশান্তি শুরু করেছিল, তাদের ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজন করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক ঘটনার বিশদ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ফিফার তরফ থেকে।
ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia Stampede) ফুটবল নিয়ামক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত এক সপ্তাহের জন্য এই লিগের সমস্ত ম্যাচ বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে সমর্থকদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন সংস্থার প্রধান। তিনি বলেছেন, আগামী এক বছর অভিযুক্ত ক্লাব আরিমা এফসির ঘরের মাঠে আরও কোনও ম্যাচ আয়োজন করা হবে না। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ফুটবলের মানচিত্রে ইন্দোনেশিয়ার মুখ পুড়িয়েছে সমর্থকরা।
[আরও পড়ুন: সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা, চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি]
ঘটনার পুলিশি তদন্ত চললেও আলাদা ভাবে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল সংস্থা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ফিফার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়া ফুটবল সংস্থার সঙ্গে। কী করে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ম্যাচের রেফারিদেরও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে ফিফার নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত জনতাকে সামলাতে কেন কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার করা হল? কেনই বা নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার বেশি দর্শককে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল? কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেনি পূর্ব জাভা থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, ফিফার নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে,কোনও পরিস্থিতিতেই জনতার উপর কাঁদানে গ্যাস বা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর ইন্দোনেশিয়ার মাটিতেই অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। এশিয়ান কাপ আয়োজন করার জন্যও দাবি জানিয়েছে তারা। সেখানে খেলা দেখতে উপস্থিত জনতার নিরাপত্তা যদি সুরক্ষিত না থাকে, তাহলে মেগা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার অনুমতি পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ফুটবল ম্যাচ ঘিরে দর্শকদের হিংসাত্মক হয়ে ওঠার ঘটনা ইন্দোনেশিয়ায় নতুন নয়। আগেও বহুবার এইভাবে সমস্যায় পড়েছেন ফুটবল দর্শকরা।
এদিকে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফ্যান্টিনো বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ”কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে আরিমা এফসি ও পারিসবায়া সৌরবায়ার ম্যাচের পরে এই ট্র্যাজিক দুর্ঘটনায় গোটা ফুটবল বিশ্ব স্তম্ভিত। এটা ফুটবলের জন্য এক কালো দিন। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।”
[আরও পড়ুন: ফের নিশানায় কেজরি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জলের বোতল ছোঁড়া হল গুজরাটে]