সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার কাপের ডার্বি (Derby) শুক্রবার। তার আগে ফুরফুরে মেজাজে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat)। সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে রসিকতা করে বলছেন, এদিকে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করেন যাঁরা, তাঁরা বসেছেন। ওদিকে মোহনবাগানকে সমর্থন করেন যাঁরা…।
সুপার কাপের (Kalinga Super Cup) মহাগুরুত্বপূর্ণ ডার্বির আগে লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গলই একনম্বরে। মোহনবাগান(Mohun Bagan) দ্বিতীয় স্থানে। অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবারের ডার্বি ড্র হলে ইস্টবেঙ্গল পৌঁছে যাবে সেমিফাইনালে। আর মোহনবাগানকে শেষ চারে পৌঁছতে হলে জিততেই হবে। কুয়াদ্রাত অবশ্য ম্যাচ ড্র করার ভাবনা আনছেন না।
তিনি বলেছেন, যখনই কোনও দল ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামে, তখনই ম্যাচ হারে সংশ্লিষ্ট দল। কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামছেন না তিনি।
[আরও পড়ুন: ডিপফেকের শিকার শচীন, গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের এফআইআর]
কুয়াদ্রাতের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্সে এসেছিলেন ক্লেটন সিলভা। তিনি বলেন, ”আমরা ড্র করার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামব না। ডার্বি খেলা সবসময়েই আকর্ষণীয়। ভারতের মাটিতে এটাই সবচেয়ে বড় ম্যাচ। এর অংশ হতে পেরে আমি খুশি।”
কিন্তু মোহনবাগান স্কোয়াডের সাত জন ফুটবলার জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। চোটের জন্য জাতীয় দলে যোগ দিতে পারেননি দুজন। ফলে শক্তির নিরিখে বিচার করলে মোহনবাগান কি একটু পিছিয়ে থেকে শুরু করছে? ডার্বি যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলই কি ফেভারিট? কুয়াদ্রাত মানেন না। তিনি বলছেন, ”আমাদেরও ফুটবলার জাতীয় ক্যাম্পে রয়েছে। ওরাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। আমি জানি, ভারতীয় ফুটবলে অনেককিছু ঘটে। ম্যাচে ফোকাস রাখতে হবে। সেমিফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করতে হবে।”
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। মরশুমের শুরুতে আবার ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানকে হারালেও ফাইনালে সবুজ-মেরুনের কাছে হেরে গিয়েই খেতাব হারাতে হয়েছে। আইএসএলের বেশ কয়েকটি ম্যাচে দুর্ভাগ্যের শিকার হতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত গিয়েছে লাল-হলুদের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে কুয়াদ্রাত বলেন, ”আমরা আইএসএলে যা পয়েন্ট পেয়েছি, তার থেকে বেশি পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল। কয়েকটি ম্যাচে আমরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছি। তাতেও অবশ্য খেলোয়াড়দের মানসিকতায় পরিবর্তন হয়নি। ফুটবলারদের মানসিকতা একই রকম আছে। টুর্নামেন্টে যেভাবে পারফর্ম করছে ছেলেরা, তাতে আমি খুশি।”
কোচ পরিবর্তিত হয়েছে মোহনবাগানে। আন্তোনিও লোপেজ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ডার্বিতে তাঁর হাতে থাকবে না সবুজ-মেরুনের রিমোট কন্ট্রোল। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের বদভ্যাস রয়েছে গোল হজম করার। সুপার কাপের প্রথম দুটো ম্যাচেও গোল খেতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কুয়াদ্রাত বলছেন, ”এখনও পর্যন্ত তিনটি গোল হজম করতে হয়েছে আমাদের। তার মধ্যে দুটো পেনাল্টিতে। আমাদের ভাগ্য খারাপ।” তবে ডার্বি সম্পূর্ণ নতুন ম্যাচ। এই ম্যাচে ফেভারিট দল হার মানে। আবার ভাঙাচোরা দল নিয়েও ডার্বি জেতার নজির বহু রয়েছে।