সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩১ বছরে আচমকাই ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বেন স্টোকস। যা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে যায় ক্রিকেটবিশ্ব। তবে মনের মধ্যে যে ক্ষোভ নিয়েই এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ালেন ইংলিশ তারকা, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। দেশের জার্সিতে কেরিয়ারের যে একদিনের ম্যাচ খেলার পর ইংল্যান্ড বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তারকা অলরাউন্ডার।
মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে শেষ ওয়ানডে খেলেন বেন স্টোকস। সেখানে অবশ্য ৫ রানেই আউট হন তিনি। পাঁচ ওভার বল করে কোনও উইকেটও পাননি। ৬২ রানে প্রথম ওয়ানডে হারেন বাটলাররা। কিন্তু খেলার ফলের চেয়েও এদিন বেশি নজর ছিল স্টোকসের (Ben Stokes) দিকে। যিনি এই ম্যাচে নামার আগেই অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তের কারণও জানিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে মেয়ের বিয়ের গয়না নিয়ে চম্পট দিলেন মহিলা!]
সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন, “তিনটি ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। শুধু যে শরীর দিচ্ছে না, তেমনটা নয়। ঠাসা ক্রীড়াসূচির জেরে আমরা প্রত্যাশা পূরণ করতেও পারছি না।”
কেরিয়ারের শেষ ওয়ানডের পর সেই ক্রীড়াসূচি নিয়ে ফের মুখ খুললেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। বলে দিলেন, “আমি সবসময় নিজের দলকে সেরাটা উজার করে দিতে চায়। কিন্তু আমরা গাড়ি নই যে পেট্রল ভরে দিলেই চলতে শুরু করব। লাগাতার খেলা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সফর- সবকিছুই খেলার উপর প্রভাব ফেলে।” এরপরই বোর্ডের (ECB) দিকে আঙুল তুলে যোগ করেন, “আগেও বলেছি, ঠাসা ক্রীড়াসূচি ঘোষণা করে দিচ্ছে। আর তারপর ক্রিকেটারদের বলা হচ্ছে প্রতিটি ম্যাচে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিতে। টিম ম্যানেজমেন্টও বুঝে উঠতে পারছে না কীভাবে ক্রিকেটারদের বিরতি দেওয়া হবে।”
ঠাসা ক্রীড়াসূচি কীভাবে ক্রিকেটারদের উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি করছে, স্টোকসের কথায় যেন সে ইঙ্গিতই পাওয়া যায়। আর এই বিষয়টিকেই আরও খানিকটা উসকে দিয়েছেন কেভিন পিটারসেনও। বলে দেন, “এই ক্রীড়াসূচি নিয়ে একসময় সরব হয়েছিলাম। চাপ নিতে না পেরে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াই। আর তারপর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আমায় টি-টোয়েন্টি থেকেও সরিয়ে দিল।” এমন পরিস্থিতিতে বিতর্ক এড়াতে ইংল্য়ান্ড বোর্ডের ক্রীড়াসূচি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত। এমনটাই অন্তত মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশের।