এফসি গোয়া–৩ মোহনবাগান–০
(ডোহলিং,ফারেস,নোয়া)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এফসি গোয়া (FC Goa) থেকেই মোহনবাগানে (Mohun Bagan) এসেছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। পুরনো দলের কাছেই রবিবার হার মানলেন স্পেনীয় কোচ। মাণ্ডবীর তীরে মোহনবাগানকে মাটি ধরাল গোয়া। অথচ এদিন এফসি গোয়াকে হারাতে পারলে এক ধাক্কায় লিগ টেবিলে অনেকটাই উপরে উঠে আসত সবুজ-মেরুন শিবির। সেটা আর হল না দিনের শেষে। আইএসএলের (ISL) লিগ তালিকায় ছ’ নম্বরে এখন ফেরান্দোর দল।
এদিন প্রথমার্ধে গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং বদলে যায় পুরোপুরি। তিন-তিনটি গোল হজম করতে হয় মোহনবাগানকে। খেলার ৫০ মিনিটে ডোহলিং বাঁ প্রান্ত থেকে আগুন জ্বালানো দৌড় শুরু করেন। তাঁকে আর থামাতেই পারলেন না সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডাররা। ডোহলিং বক্সের ভিতরে ঢুকে জোরালো শটে মোহনবাগানের জাল কাঁপিয়ে দেন। সেই শুরু। ৭৬ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে ফারেস দ্বিতীয় গোলটি করেন। এক্ষেত্রেও বলতে গেলে তাঁকে কেউ মার্কিং করেননি। বিনা বাধায় হেড দিয়ে গোল করেন ফারেস।
[আরও পড়ুন: বাটলারদের বিশ্বজয় তাতাবে কেনদের? কাতারে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা নিয়ে কী বলছেন ট্রেভর মর্গ্যান?]
প্রতিপক্ষ গোয়ার শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন ফেরান্দো। ম্যাচের আগে তিনি প্রতিপক্ষের আলভারো, ইকের, মার্কের কথা আলাদা করে বলেছিলেন। কিন্তু মোক্ষম সময়ে গোয়া টেক্কা দিয়ে গেল মোহনবাগানকে। গোল হজম করার পরে মোহনবাগান তীব্রতা নিয়ে খেলতে পারেনি। যে তীব্রতা নিয়ে খেলার জন্য বিখ্যাত ফেরান্দোর দল, সেটাই দেখা যায়নি মাণ্ডবীর তীরে। গোয়ার তৃতীয় গোলটিও দেখার মতো। নোয়া সাদাউই দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন। মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ গোললাইন থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। নোয়ার শট বাঁচানোর জন্য শরীর ছোঁড়েন সবুজ-মেরুন গোলকিপার। কিন্তু বলের নাগাল তিনি পাননি। নোয়া যখন গোলটি করেন, তখন খেলার বয়স ৮২ মিনিট। ম্যাচ আগেই ফেরান্দোর হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। পুরনো দলের বিরুদ্ধে হার মানতে হল ফেরান্দোকে।