সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার (Kolkata) দুই প্রধান আইএসএলে (ISL) চলে যাওয়ায় স্বভাবতই জৌলুসহীনভাবেই শেষ হল এবারের আইলিগ (I League)। তবে টুর্নামেন্ট যতই জৌলুসহীন হোক, চ্যাম্পিয়ন কিন্তু ঠিক হল সেই শেষদিনে এসেই। আই লিগ জিততে কড়া টক্কর হল গোকুলাম কেরালা (Gokulam Kerala), ট্রাউ এফসি (Trau FC) এবং চার্চিল ব্রাদার্সের (Churchill Brothers) মধ্যে। শেষপর্যন্ত অবশ্য ট্রাউকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল গোকুলাম। রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাবকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সমসংখ্যক পয়েন্টে টুর্নামেন্ট শেষ করলেও, হেড টু হেডে পিছিয়ে থাকায় রানার্স হয়েই সন্তষ্ট থাকতে হল চার্চিল ব্রাদার্সকে।
গোকুলাম, ট্রাউ নাকি চার্চিল? শনিবারের আগে পয়েন্ট টেবিল এমন অবস্থায় ছিল, যেখানে তিন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল। প্রত্যেকেরই পয়েন্ট ছিল ২৬। তবে অ্যাডভান্টেজের দিক থেকে ধরে র্যাঙ্কিং করলে এক নম্বরে ছিল গোকুলাম। দ্বিতীয় স্থানে-ট্রাউ এবং তৃতীয় স্থানে চার্চিল ছিল। এই অবস্থায় এদিন বিকেল ৫ টার সময় গোকুলাম আর ট্রাউ খেলতে নামে কিশোর ভারতীতে। আর একই সময়ে চার্চিল খেলতে নামে রাউন্ডগ্লাসের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে।
[আরও পড়ুন: দলকে জিতিয়ে কিংবদন্তি গাভাসকরকে পালটা কটাক্ষ বেয়ারস্টোর]
যদিও ট্রাউ বনাম গোকুলামের ম্যাচে প্রথমার্ধে কিন্তু এগিয়ে ছিল ট্রাউই। ২৩ মিনিটে গোল করে বিদ্যাসাগর সিং ট্রাউকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। এটি ছিল টুর্নামেন্টে তাঁর ১৩তম গোল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই খোলস ছেড়ে বেরোয় গোকুলাম। মাত্র কিছু সময়েই চারটি গোল করে ফেলে কেরলের দলটি। ম্যাচের ৬৯, ৭৫, ৭৭ এবং অতিরিক্ত সময়ে গোলগুলি করে গোকুলাম। আর শেষপর্যন্ত ৪-১ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে নেয় তাঁরা। এর ফলে কেরলের প্রথম দল হিসেবে আই লিগ জয়ের নজির গড়ল গোকুলাম কেরালা। অন্যদিকে, রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাবকে ৩-২ গোলে হারালেও হেড টু হেডে চ্যাম্পিয়ন হতে পারল না চার্চিল ব্রাদার্স। এদিকে, দুটো হ্যাটট্রিক-সহ ১৩টি গোল করে ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেতে চলেছেন বিদ্যাসাগর সিং।
আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের পরে আই লিগের মূলপর্ব এই মরশুমে নিরাপদে আয়োজন করা মোটেই সহজ ছিল না অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের। করোনা পরিস্থিতির কারণে। প্রায় সাড়ে তিন-চার মাস ধরে এই অসাধ্য সাধনই করেছেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। বিশেষ করে আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর। মোট ১১টি দলকে রাখা হয়েছে দুটি পাঁচতারা হোটেলের বায়ো বাবলে। দীর্ঘ এই আই লিগে ফুটবলার, কোচ, ম্যাচ অফিসিয়ালদের কোভিড টেস্ট হয়েছে ১২ হাজার বার। একজনও করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েননি। ফলে দীর্ঘ আই লিগ শেষে ফেডারেশন কর্তাদের মুখে সাফল্যর হাসি।