সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে পদকের আসল দাবিদার? স্বপ্না বর্মন (Swapna Barman) নাকি নন্দিনী আগাসারা (Nandini Asagara)? এই ইস্যু নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় ভারতের (India) অ্যাথলেটিক্স মহল। চলতি এশিয়ান গেমসের (Hangzhou Asian Games 2023) হেপ্টাথেলন ইভেন্টে পদক হাতছাড়া করেছিলেন বঙ্গ তনয়া। আর এর পরেই সতীর্থ নন্দিনীকে ‘রূপান্তরকামী’ বলে অভিযোগ তুলে মারাত্মক বিতর্ক বাঁধিয়ে দিলেন স্বপ্না। তবে এই ইস্যু নিয়ে টুইট করলেও, সেটা কিছুক্ষণ পরেই মুছে দিয়েছিলেন। তবে সোশাল মিডিয়ার যুগে সেই মুছে দেওয়া টুইট ভাইরাল হয়ে যায়।
কী অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্না? টুইটারে স্বপ্না অভিযোগ করেছিলেন, ‘একজন রূপান্তরকামী মহিলার কাছে আমি নিজের ব্রোঞ্জ পদকটা হারালাম। এই পদকটা আমি ফেরত চাই। কারণ এটা একেবারেই অ্যাথলেটিক্সের নিয়মবিরুদ্ধ। আমি আপনাদের সাহায্য চাই। আমাকে সহযোগিতা করুন।’ স্বপ্নার সেই টুইট মুছে দিলেও, মুহূর্তের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। নন্দিনী কাছে মাত্র ৪ পয়েন্টে হেরে গিয়েছিলেন স্বপ্না। ফলে চার নম্বরে থেমে যান ২০১৮ সালের জাকার্তা এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না। এই ইভেন্টে নন্দিনী আগাসারা ৫,৭১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন। সেখানে স্বপ্নার পয়েন্ট ছিল ৫,৭০৮।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ৪ দিন আগেই ধাক্কা ভারতের, দল ছেড়ে তড়িঘড়ি মুম্বই ফিরলেন বিরাট]
স্বপ্না পরে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই পদকের দাবিদার শুধু আমি। আমি অবিচারের শিকার হয়েছি। সেটা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। স্বপ্না ফের যোগ করেন, “রূপান্তরকামী অ্যাথলিদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা আড়াইয়ের উপর থাকে। ফলে ২০০ মিটারের ঊর্ধ্বে ওরা অংশগ্রহণ করতে পারে না। হেপ্টাথেলনে কোনও মহিলা সহজে জয়লাভ করতে পারে না। আমি গত ১৩ বছর ধরে অনুশীলন করছি। আর ও মাত্র চার মাস অনুশীলন করেই পদক জিতে যাবে! এটা হতে পারে না। দরকার হলে আমি নাডা এবং ওয়াডা-র আধিকারিকদের কাছে আবেদন জানাতে পারি।”
যদিও স্বপ্নার অভিযোগকে পাত্তা দিতে রাজি নন পদকজয়ী নন্দিনী। তিনি পালটা দিয়ে বলেন, “আমি জানি আমি কীভাবে এত বড় মঞ্চে এসেছি। আমার কাছে সব প্রমাণ আছে। আমিও কিন্তু দেশের হয়ে পদক জিতেছি। এবং দেশের জন্য আরও পদক জিততে চাই।” এরপর থেকে থেমে না থেকে তিনি ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন। নন্দিনী যোগ করলেন, “আমি পদক জয়ের পর থেকে অনেকেই আমাকে অপমানজনক মন্তব্য করেছে। তবে আমিও চুপ থাকার পাত্রী নই। দরকার হলে ব্যাপারটা ভারতের অ্যাথলেটিক্স সংস্থার কাছে নিয়ে যাব। এই মুহূর্তে পদক জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে চাই।” এখন দুই অ্যাথলিটের এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার বিষয়।