সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার কাপে ‘সুপার’ ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই লাল-হলুদের গ্রাফ পড়তির দিকে। ছন্দপতন ঘটে কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) দলের খেলায়। সোশাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ইস্টবেঙ্গলকে দেখে অনুপম রায়ের গান আমি আবার ক্লান্ত পথচারী বলেই মনে হচ্ছে। বাকি চারটি ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গল কি প্লে অফের ছাড়পত্র জোগাড় করে নিতে পারবে?
আইএসএলে (ISL) ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফ ভাগ্য এখন শুধুমাত্র নিজেদের হাতে নেই। আরও তিনটি দলের উপর নির্ভর করে রয়েছে লাল-হলুদের ভাগ্য। নিজেদের জয় ছাড়াও বাকি তিনটি দল কী করছে, সে দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে কুয়াদ্রাতের দলকে।
[আরও পড়ুন: টিকিট মূল্যে বৈষম্য, ডার্বি নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান]
লাল-হলুদের এখনও চার ম্যাচ বাকি। ১০ মার্চ ইস্টবেঙ্গলের সামনে মোহনবাগান। ৩ এপ্রিল ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স। ৭ এপ্রিল কলকাতায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছে বেঙ্গালুরু। ইস্টবেঙ্গল-পাঞ্জাব এফসি ম্যাচ ১০ এপ্রিল।
এই চারটি ম্যাচের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল যদি একটি ম্যাচেও হার মানে, তাহলে প্লে অফের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে ক্লেটনদের। এই চার ম্যাচে জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের জন্য প্লে অফের দরজা খুলে যাবে, এমন নয়। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড, চেন্নাইয়িন এবং জামশেদপুর এফসি-র দিকে কড়া নজর রাখতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে বাকি পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত পাঁচ পয়েন্ট খোয়াতে হবে। বৃহস্পতিবারই নর্থ ইস্টের সামনে পাঞ্জাব এফসি। ম্যাচ বাকি মুম্বই সিটি, কেরালা ব্লাস্টার্স, চেন্নাইয়িন ও ওড়িশার বিরুদ্ধে।
ইস্টবেঙ্গলকে তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাইয়িন-এর শেষ পাঁচটি ম্যাচের দিকেও। কুয়াদ্রাত বাহিনীকে সেরা ছটি দলের মধ্যে জায়গা করতে হলে পাঁচটি ম্যাচ থেকে চেন্নাইয়িনকে অন্তত তিন পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে।
অন্যদিকে, জামশেদপুরকেও শেষ চার ম্যাচ থেকে অন্তত দু’পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে।
বিষয়টা হল, অনেক যদি কিন্তুর উপরে নির্ভর করে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের প্লে অফ ভাগ্য। কী হবে তার উত্তর দেবে সময়।