দুলাল দে, দোহা: ১৯৫০ বিশ্বকাপের হারের বদলা এবারও নেওয়া হল না ইংল্যান্ডের। উলটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনওরকমে ড্র করল তারা। অন্যদিকে পরের রাউন্ডে পৌঁছনো কার্যত নিশ্চিতই করে ফেলল নেদারল্যান্ডস।
দু’ম্যাচ খেলে নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর, দু’দলেই পয়েনট চার। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের প্রতিপক্ষ কাতার। তাই ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া দলটির কাছে একান্তই হেরে না গেলে প্রি-কোয়ার্টারে পৌঁছতে কোনও সমস্যা হবে না ভ্যান গলের যোদ্ধাদের। শুক্রবার যেভাবে ডাচরা শুরু করেছিল, তাতে ম্যাচের ফল অন্যরকমই আশা করেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু হাল ছাড়েনি ইকুয়েডর। আর তাই শেষমেশ ১-১ ড্র হওয়ায় পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেল কাতার, জিতে টুর্নামেন্টে ভেসে রইল সেনেগাল]
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোলমুখ খুলতেই পারলেন না হ্যারি কেনরা। ৯০ মিনিটের লড়াই শেষ হল গোলশূন্য ভাবে। ইরানের বিরুদ্ধে দাপট দেখানো দলে এদিন কোনও বদল করেননি ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তই যেন বুমেরাং হয়ে ফিরল ইংল্যান্ডের কাছে। ইরান ম্যাচে চোট নিয়ে উঠে যাওয়া হ্যার কেন যে পুরোপুরি সুস্থ হননি, তা ম্যাচের প্রথম থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সেভাবে দৌড়তেই পারলেন না ইংলিশ অধিনায়ক। আর প্রধান স্ট্রাইকার আটকে যেতেই গোলের দেখা পেল না ইংল্যান্ড। চোট নিয়েও পরের ম্যাচেও হয়তো খেলতেই হবে হ্যারি কেনকে। কিন্তু এহেন অবস্থায় তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের খেলা যে খুঁটিয়েই দেখেছিলেন ইউএসএ কোচ গ্রেগ বের্হল্টার, তা তাঁর খেলানোর স্ট্র্যাটেজিতেই স্পষ্ট। সেই কারণেই ইংল্যান্ডকে আটকে দিতে সফল হন তাঁর ছেলেরা। অবশ্য ড্র করলেও নকআউটের টিকিট প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছেন কেনরা। কারণ তাঁদের ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে ওয়েলসের বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে না হারলে তাঁদের পরের পর্বে যাওয়া আটকাবে না।