নেরোকা এফসি: ২ (সুভাষ, চিডি)
মোহনবাগান: ৩ (ডিকা-২, আক্রম)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপক্ষ আপাতত লিগ তালিকার শীর্ষে। তা সত্ত্বেও শংকরলাল চক্রবর্তীর কাছে লড়াইটা ছিল সম্মানের। শীর্ষে থাকা দলের কাছে হারলে চলবে না। এটাই ছিল মোটো। আর কোচের কথাকেই বেদ মন্ত্র হিসেবে মাথায় ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন ডিকা-আক্রমরা। ঘরের মাঠে গোকুলামের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ার পর ভূ-লুন্ঠিত ক্লাবের মর্যাদাটুকু অন্তত সসম্মানে তুলে ধরতে সফল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। বার্থডে বয় ডিকার জোড়া গোলেই বাগানে ফিরল বসন্ত।
গোকুলামের কাছে হারার পর দলের মনোবল এমনিতেই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও দলের মনোবলের অবশ্য বিশেষ উন্নতি লক্ষ্য করা গেল না। প্রথমার্ধে তিন-তিনটে গোল করে যে দলের আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফোটা উচিত, সে দল যে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে গিয়ে ফোকাসটাই হারিয়ে ফেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে অজস্র মিস পাস করে কেমন যেন খেলার খেই হারিয়ে ফেললেন কিংশুকরা। তার উপর নেরোকাকে রুখতে গোটা দল নেমে এল ডিফেন্সে। কে বলবে চলতি মরশুমেই এই কোচের তত্ত্ববধানে ডার্বিতে গোল করেও অদ্ভুত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে লড়াই করে খেলা জমিয়ে দিয়েছিল গোটা দল। সোনিহীন বাগানে সেসব ছবি এখন অতীত। আর মোহনবাগানি ফুটবলারদের এই আত্মবিশ্বাসের অভাবকে হাতিয়ার করেই দ্বিতীয়ার্ধে বারবার আক্রমণ শানালেন সুভাষ সিংরা। তবে মোহনবাগানের প্রতি ভাগ্য সহায় হওয়ায় শেষ পর্যন্ত গোলমুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। প্রথমার্ধে বাগানের পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি না হলেও সবুজ-মেরুনের দ্বিতীয়বার সমতা ফেরানোর গোলটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্পট কিকের সময় ডিকা অফসাইডে ছিলেন কিনা, সে নিয়ে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।
[ধূমপান ছাড়তে খাঁচায় বন্দি মাথা, এই ব্যক্তির কীর্তিতে তাজ্জব শেহবাগও]
কিন্তু পরাস্ত হলেও কিংশুকের ভুলে বাঁ-দিক থেকে চিপে যে বিশ্বমানের গোল করলেন সুভাষ, তার জন্য ম্যাচের সেরা হলেন তিনি। দু’বার এগিয়ে গিয়েও ইম্ফলে শূন্য হাতেই মাঠ ছাড়ায় প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেল চিডিদের। ইনজুরি টাইমে ইউটার ক্রস থেকে আক্রমের দুর্দান্ত হেডের গোলটিতেই নেরোকার আই লিগ জয়ের কফিনে পেরেক পুঁতে দেয়।
উলটোদিকে, লক্ষ্যপূরণ শংকরলালের। কারণ এই জয়ের ফলে আই লিগের সুপার ফোরে থাকা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ফলে সুপার কাপে খেলার আশা আরও উজ্জ্বল হল। ১৫ ম্যাচে ২৪ পয়েন্টে আপাতত চারেই রইল তারা। তিন পয়েন্ট ঘরে তোলায় সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটলেও ওয়াটসন-কিংশুকদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স বাগান কোচের কপালে কিন্তু চিন্তার ভাঁজ রেখেই দিল।
[খাবার না-পসন্দ বিরাটদের, চাকরি খোয়ালেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাঁধুনি]
The post ডিকার জোড়া গোলে নেরোকা বধ, আই লিগ জমিয়ে দিল মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.