সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠে নেমে পারফরম্যান্স নয়। বরং মাঠের বাইরের বিতর্কে এই মুহূর্তে জেরবার পাকিস্তান। পরপর চার ম্যাচ হেরে চলতি বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023) থেকে বিদায়ের মুখে পাকিস্তান (Pakistan)। এরমধ্যে চলে এসেছিল অধিনায়ক বাবর আজম (Babar Azam) বনাম পিসিবি (PCB) চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের (Zaka Ashraf) ইগো ফাইট নিয়ে নতুন আপডেট। একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে পাক অধিনায়কের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ফাঁস করে দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (Pakistan Cricket Board) চেয়ারম্যান! তবে বাবরের এই ব্যক্তিগত মেসেজ ফাঁসের জেরে এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)।
ফাঁস হয়ে যাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘এটা একটা লজ্জাজনক কাজ। আমরা নিজেরাই দেশকে লজ্জায় ফেলছি। আমাদের প্লেয়ারদের অপমান করছি। কীভাবে আপনি কারও ব্যক্তিগত মেসেজ ফাঁস করতে পারেন! তাও সে যখন বাবর আজম, সেটাকে সামনে আনতে পারে! চেয়ারম্যান যদি এরকম কিছু করে তাহলে তো খুব খারাপ এটা। যেভাবে এটা সামনে এসেছে তাতে আমার মনে হয়েছে শোয়েব জাট এই কাজটা করেছে? কেন ও করল? ওকে কি চেয়ারম্যান করতে বলেছে?’
[আরও পড়ুন: বিতর্ক উড়িয়ে আফগানদের জয়ে ফের নাচলেন ইরফান! এবার সঙ্গী ভাজ্জি, দেখুন ভাইরাল ভিডিও]
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন জাকা আশরাফ। তাঁর কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাওয়া হয়। বাবররা যে দীর্ঘদিন বেতন পাচ্ছেন না সেটা আর গোপন কিছু নয়। তবে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, বাকি দাবিটা মিথ্যা। জাকা আশরাফ বলেন, “লতিফ বলেছে, আমি বাবরের ফোন ধরছি না। এটা একেবারে মিথ্যা। বাবর আমাকে একবারের জন্যও ফোন করেনি। বরং চিফ অপরেটিং অফিসার ও ডিরেক্টর অফ ইন্টারন্যাশানাল ক্রিকেটের আধিকারিক অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলেছে।”
এর পর নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে জাকা আশরাফ একটি হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাট সামনে তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে সলমন ও বাবরের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। সেখানে বাবরকে দলের চিফ অপরেটিং অফিসার ও ডিরেক্টর অফ ইন্টারন্যাশানাল ক্রিকেটের আধিকারিক জিজ্ঞেস করেছেন, “বাবর সংবাদমাধ্যমে একটা খবর ঘোরাফেরা করছে যে তুমি নাকি জাকা আশরফকে ফোন করে কোনও উত্তর পাচ্ছ না?” এর উত্তরে বাবর লেখেন, “না। আমি ওনাকে কখনও ফোন করিনি। ”
তবে কীসের ভিত্তিতে লতিফ এই অভিযোগ আনলেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে অনেকেই চ্যাট ফাঁস করে দেওয়ার জন্য জাকা আশরফের নিন্দে করছেন। এভাবে দু’জন মানুষের মেসেজ ফাঁস করার জন্য আশরফের বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের মারাত্মক অভিযোগ উঠতে পারে বলে দাবি অনেকের। এবার নিন্দুকদের তালিকায় নাম লেখালেন আফ্রিদি।